গাভাইয়ের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ পোস্ট! দায়ের একাধিক অভিযোগ

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের (B R Gavai) বিরুদ্ধে এবার সমাজমাধ্যমে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ (Casteist) পোস্ট করায় একাধিক FIR দায়ের করল পাঞ্জাব…

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের (B R Gavai) বিরুদ্ধে এবার সমাজমাধ্যমে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ (Casteist) পোস্ট করায় একাধিক FIR দায়ের করল পাঞ্জাব পুলিশ। বুধবার পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টি (AAP) সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতের মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে বেআইনি এবং আপত্তিকর সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পাঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police) আজ (বুধবার) রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শতাধিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে অসংখ্য আপত্তিকর বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।”

Advertisements

ঠিক কতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, ভগবন্ত মানের সরকারের তরফে তা জানানো না হলেও প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছুঁড়ে মারা ও সমাজমাধ্যমে বর্ণবিদ্বেষী কমেন্ট করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আপ। সমাজমাধ্যমের পোস্টগুলিকে “জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক অনুভূতিকে অন্যায্যভাবে কাজে লাগিয়ে শান্তি ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার সরাসরি প্রচেষ্টা”, এবং “সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, বর্ণবিদ্বেষ (Casteist)বৃদ্ধি, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি অশ্রদ্ধা” বলে উল্লেখ করা হয়েছে আপের তরফে।

বিজ্ঞাপন

জানা গিয়েছে, ১৯৮৯ সালের তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (নৃশংসতা প্রতিরোধ) আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা অনুসারে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পাঞ্জাব পুলিশ। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, তদন্তের জন্য সাইবার সেলের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সমাজমাধ্যম থেকে পোস্টগুলিকে সরাতে এবং যারা এই পোস্ট করেছেন বা কমেন্ট করেছেন তাঁদেরকেও চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর।

প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছোঁড়ার চেষ্টা

প্রসঙ্গত, সোমবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের (B R Gavai) এজলাসে খাজুরাহ সম্পর্কিত একটি মামালার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়ে মারেন ৭১ বছর বয়সী আইনজীবী রাকেশ কিশোর।

তৎক্ষণাৎ উপস্থিত পুলিশ তাঁকে আদালত চত্বর থেকে বের করে দেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাকেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে না চাওয়ায় তিন ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনজীবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও কোনও অনুশোচনা নেই আইনজীবী রাকেশ কিশোরের। তিনি বলেন, “ঈশ্বরের নির্দেশেই তিনি এই কাজ করেছেন”।