পিএইচডি থেকে ইঞ্জিনিয়ার! ৭৫০০ কনস্টেবল পদের জন্য পড়ল ১০ লক্ষ আবেদন

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগে ফুটে উঠল শিক্ষা-বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি। মাত্র ৭,৫০০টি শূন্যপদে আবেদন করেছেন প্রায় ১০ লক্ষ প্রার্থী, আর তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪২ জন…

MP Police Recruitment PhD Engineers

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগে ফুটে উঠল শিক্ষা-বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি। মাত্র ৭,৫০০টি শূন্যপদে আবেদন করেছেন প্রায় ১০ লক্ষ প্রার্থী, আর তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪২ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী, ১২ হাজারেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার, আরও অগণিত স্নাতক ও ডিপ্লোমাধারী তরুণ-তরুণী। যে পদের জন্য যোগ্যতা মাত্র মাধ্যমিক পাশ, সেই প্রতিযোগিতায় এখন যোগ্যতার প্রাচুর্যই হয়ে উঠেছে হতাশার অন্য নাম।

Advertisements

আবেদন জমার সময় বাড়ল

রাজ্যের স্টাফ সিলেকশন বোর্ড (MPESB) প্রকাশিত পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অনলাইন আবেদনপত্র জমার সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৯ সেপ্টেম্বর। কিন্তু অস্বাভাবিক আবেদন-স্রোতের কারণে শেষ তারিখ বাড়িয়ে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যেকটি কনস্টেবল পদের বেতন নির্ধারিত ১৯,৫০০ থেকে ৬২,০০০ টাকা পদমর্যাদা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। তবে এই সামান্য বেতনের চাকরির জন্য এত বিপুল সংখ্যক উচ্চশিক্ষিত আবেদনই এখন রাজ্যের সামাজিক বাস্তবতা ও কর্মসংস্থান সংকটের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে।

অফিসিয়াল সূত্রে জানা গিয়েছে, লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ অক্টোবর, যার পরে অনুষ্ঠিত হবে শারীরিক দক্ষতা পরীক্ষা (Physical Efficiency Test)। সব ধাপ শেষ হলে ২০২৬ সালের মে বা জুনের মধ্যেই ৭,৫০০ নতুন কনস্টেবল যোগ দিতে পারেন মধ্যপ্রদেশ পুলিশের দলে।

রাজ্যের ১১টি জেলায় পরীক্ষার আয়োজন MP Police Recruitment PhD Engineers

এই বিপুল পরীক্ষার্থীকে সামাল দিতে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে রাজ্যের ১১টি জেলায়-ভোপাল, ইন্দোর, জবলপুর, খান্ডওয়া, নিমুচ, রেওয়া, রতলম, সাগর, সতনা, সিধি ও উজ্জয়িনীতে। সমস্ত পরীক্ষাই হবে কম্পিউটার-ভিত্তিক (CBT) পদ্ধতিতে।

রাজ্য প্রশাসনের মতে, এত বিপুল আবেদনপত্র মধ্যপ্রদেশে বেকারত্বের গভীর সংকেত বহন করছে। উচ্চশিক্ষা অর্জন করেও যখন তরুণরা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাথমিক পদে ঝুঁকছেন, তখন তা শুধু অর্থনৈতিক চাপ নয়, সমাজে সুযোগের অভাবেরও প্রতিচ্ছবি।

প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ইতিহাসে এটিই হতে চলেছে রাজ্যের সবচেয়ে বৃহত্তম ও নজিরবিহীন নিয়োগ অভিযান।