নয়াদিল্লি: ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে ঠেকাতেই আমেরিকা অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে, নাগপুর থেকে সরাসরি না হলেও, পরোক্ষ বার্তায় সেই অভিযোগ তুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর কথায়, “বিশ্বের অনেকেই আতঙ্কিত, যদি ভারত এগিয়ে যায় তবে তাদের অবস্থান কোথায় দাঁড়াবে? সেই ভয় থেকেই ভারতীয় পণ্যে শুল্ক বসানো হয়েছে।”
একের পর এক শুল্ক
গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় রফতানিপণ্যে একের পর এক শুল্ক চাপিয়েছেন। প্রথমে ২৫ শতাংশ, তারপর রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ না করায় আরও ২৫ শতাংশ, মোট ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক কার্যকর হয়েছে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ভারত রাশিয়ার তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ জোগাচ্ছে। নয়াদিল্লি সেই অভিযোগ তীব্রভাবে খারিজ করে বলেছে, এই শুল্কনীতি “অন্যায্য, অবিচারপূর্ণ এবং অযৌক্তিক।”
নাগপুরে ব্রহ্মকুমারীদের বিশ্ব শান্তি সরোবরের সপ্তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় যোগ দিয়েছিলেন ভাগবত। সেখানেই তিনি বলেন, “আজকের পৃথিবী সমাধান খুঁজছে, কিন্তু সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পথ পাচ্ছে না। নিজেদের থেকে ‘আমরা’-র ভাবনায় যেতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে। ভারত সেই পথ দেখাতে সক্ষম।”
আরএসএস প্রধানের সুরে ছিল আত্মবিশ্বাস। তাঁর মতে, ভারত কেবল নিজের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য সমাধানের দিশা দেখাতে পারবে। তিনি আরও বলেন, “ভারত মহৎ, আর ভারতীয়দেরও মহত্ত্বের জন্য এগিয়ে চলা উচিত।”
ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ Mohan Bhagwat US tariffs
জুলাইয়ে ট্রাম্প প্রথম প্রতিশোধমূলক শুল্ক ঘোষণা করেন। ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয় সেই ২৫ শতাংশ শুল্ক। কয়েক দিনের মধ্যেই হার দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে। শুধু তাই নয়, ভারতকে অভিযুক্ত করা হয় রাশিয়ার তেল অন্য দেশকে বিক্রি করে মুনাফা অর্জনের।
কেন্দ্র জানিয়েছে, রাশিয়ার তেল কেনা ভারতের মানুষের স্বার্থে অপরিহার্য। পাল্টা শুল্ক চাপানোর দাবি দেশে জোরাল হলেও, সরকার পরিস্থিতি সামলে এগোচ্ছে কৌশলগতভাবে।
ভাগবতের মন্তব্য স্পষ্ট করেছে—ভারত কেবল প্রতিরোধেই নয়, ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক হিসেবেও আত্মপ্রত্যয়ী।
Bharat: RSS chief Mohan Bhagwat has indirectly accused the US of imposing tariffs on Indian goods to curb India’s growing global power. Speaking in Nagpur, he stated that the world is afraid of India’s rise, which he believes is the reason for the trade barriers.