নয়াদিল্লি: ২০২৩-এ কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ, বিবাদের আগুনে জ্বলছিল ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্য মণিপুর। ঘটনার প্রায় ২ বছর পর অবশেষে মণিপুর পরিদর্শনে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। মারা গিয়েছেন প্রায় ২৬০ জন, হাজারও মানুষ ঘরছাড়া। ২৯ মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে প্রধানমন্ত্রী পা রাখতে চলেছেন মণিপুরের (Manipur) মাটিতে। এই ঘটনাকে “no big deal” বলে উল্লেখ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahu Gandhi)।
শুক্রবার তিনি বলেন, “মণিপুরের (Manipur)সমস্যা বহুদিনের। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী যে সেখানে যাচ্ছেন, এটাই ভালো খবর। তবে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ভোট চুরি”। গান্ধী দাবি করেন যে কর্ণাটকে ভোট চুরি হয়েছে তা তিনি প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। সেইসঙ্গে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রেও ভোট চুরি হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
“বিজেপি হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে ভোট চুরি করেছে। সম্প্রতি কর্ণাটকে আমরা তার প্রমাণ করেছি। তাই, বর্তমানে দেশের মূল সমস্যা হল ভোট চুরি”, বলে উল্লেখ করেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এদিন জুনাগড়ের কেশোদ বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের সামনে এই মন্তব্য করেন রাহুল। জুনাগড়ে দলের জেলা ও শহর ইউনিটের সভাপতি এবং সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা এবং পড়ে ভাষণ দেবেন রাহুল।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর মণিপুর সফর PM’s Manipur visit
আগামীকাল অর্থাৎ, ১৩ সেপ্টেম্বর উত্তর-পূর্বের রাজ্যে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মণিপুর (Manipur) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইম্ফলে মুখ্য সচিব পুনীত কুমার গোয়েল জানিয়েছেন,
“প্রধানমন্ত্রীর মণিপুর সফর রাজ্যে শান্তি, স্বাভাবিকতা এবং প্রবৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবে”। মণিপুরের পাশাপাশি, মোদী মিজোরামও যাবেন এবং বৈরাবি-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তিনি মণিপুরে উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন।
দুই বছর পর অবশেষে মণিপুরে যাওয়ার সময় হল বলে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। মোদীর মণিপুর সফরকে প্রতীকী ভিজিট বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।