মণিপুরে প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের জেরে পুড়ল মোদীর কুশপুতুল

৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভার নির্বাচনের জন্য রবিবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই মণিপুর জুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি…

৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভার নির্বাচনের জন্য রবিবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই মণিপুর জুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মী সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং এন বীরেন সিংয়ের কুশপুতুল পোড়ায়। দলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। বেশ কয়েকটি জায়গায় দলীয় অফিসেও ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি সমর্থকরা।

এদিন দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি স্পষ্ট জানিয়েছে, মণিপুরে তারা এবার একাই পথ চলবে। রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তারা প্রার্থী দেবে। শরিক দল বা কোনও ছোট দলের সঙ্গে তারা জোটে যাবে না। ২০১৭ সালে এনপিপির সমর্থন নিয়ে বিজেপি রাজ্যে সরকার গড়েছিল। সেই এনপিপিকেই ফুৎকারে উড়িয়ে দিল মোদির দল।

   

রবিবার দলের তরফে মণিপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, মণিপুরে এবার বিজেপি নিজের ক্ষমতায় সরকার গড়বে। বিজেপি এবার যেভাবে সমস্ত জোটসঙ্গীদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে একতরফা ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ এদিন বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায়, টিকিট প্রত্যাশী অনেকের নামই বাদ গিয়েছে। পরিবর্তে অন্য নতুন নাম উঠে এসেছে।

বিশেষ করে কংগ্রেস থেকে দলে যোগ দেওয়া বেশিরভাগ বিধায়কই টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির জন্য যারা লড়াই করেছেন তাঁরা অনেকেই টিকিট পায়নি। এরপরই বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক পদত্যাগ করেন। ঠিক কতজন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন তা এখনও জানা যায়নি।

বিজেপি এদিন, জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং যথারীতি হেইনগ্যাং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়বেন। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বিশ্বজিৎ সিং থংজু থেকে প্রাক্তন ফুটবলার সোতাতাই সাইজা উখরুল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় বিজেপির মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র তিন। রাজ্যে একজন মুসলিমকেও টিকিট দিয়েছে গেরুয়া দল।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে ২১ টি আসন দখল সরকার গঠন করেছিল। সে ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের বিভিন্ন ছোট দলের সমর্থন নিতে হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ দু’দফায় মণিপুরের জনগণ ভোট দেবেন। ফলাফল জানা যাবে ১০ মার্চ।