পুতিনের শুভেচ্ছা ফোন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদী মোদী

নয়াদিল্লি: জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তার প্রত্যুত্তরে ট্রাম্প-পুতিন উভয়কেই দ্বিপাক্ষিক-বন্ধন মুজবুতির বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বুধবার নরেন্দ্র মোদীর ৭৫ তম জন্মদিনে “বন্ধু”কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ট্রাম্প…

নয়াদিল্লি: জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তার প্রত্যুত্তরে ট্রাম্প-পুতিন উভয়কেই দ্বিপাক্ষিক-বন্ধন মুজবুতির বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বুধবার নরেন্দ্র মোদীর ৭৫ তম জন্মদিনে “বন্ধু”কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ট্রাম্প এবং পুতিন উভয়ই। ট্রাম্পের মত এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও (Vladimir Putin) মোদীকে ফোন করেই শুভেচ্ছা জানান।

Advertisements

তার পরিপ্রেক্ষিতে এক্স-এ ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী বলেন, “ফোন করে ৭৫ তম জন্মদিনে আমাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু পুতিন। আমাদের বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারত সম্ভাব্য সকল অবদান রাখতে প্রস্তুত”।

বিজ্ঞাপন

মোদীর ৭৫ তম জন্মদিনে ট্রাম্প-পুতিনের শুভেচ্ছা বার্তা

বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বন্ধন আরও দৃঢ় করার বার্তা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। একইভাবে ফোন করে “বন্ধু” মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সেইসঙ্গে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া “ট্রুথ সোশ্যালে” (Truth Social) ট্রাম্প লেখেন “আমার বন্ধু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে খুব সুন্দর বার্তালাপ হয়েছে। আমি ওনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাই। উনি দুর্দান্ত কাজ করছেন।” পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবসানের সম্মতি দেওয়ার জন্যও মোদীকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প।

বলা বাহুল্য, রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতীয় পণ্যের উপর ২২ আগস্ট আমেরিকা ৫০ শতাংশ চড়া শুল্ক চাপানোর পর ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে চিড় ধরার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তিয়ানজিনে এসসিও সামিটে(SCO Summit) মোদী-পুতিন-জিনপিং এর একসঙ্গে ছবি প্রকাশ করে মার্ক প্রেসিডেন্ট লিখেছিলেন “রাশিয়ার অতল অন্ধকারে ভারতকে হারালাম”।

বস্তুত, রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে বরাবর ক্ষোভ প্রকাশ করে এসেছে আমেরিকা। তবে জন্মদিনে “বন্ধুত্বের” মধ্য দিয়ে বিশ্বের দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককেও মজবুত করে নিলেন নরেন্দ্র মোদী বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।