মণিপুর নিয়ে হাই অ্যালার্ট মোডে কেন্দ্র, তড়িঘড়ি পাঠানো হল ২০০০ CRPF-কে

আচমকা হিংসা বিধ্বস্ত রাজ্যে ২০০০ জন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানকে মোতায়েন করল কেন্দ্র। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই দফায় দফায় হিংসায় কেঁপে উঠেছে মণিপুর (Manipur)। বিগত…

আচমকা হিংসা বিধ্বস্ত রাজ্যে ২০০০ জন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানকে মোতায়েন করল কেন্দ্র। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই দফায় দফায় হিংসায় কেঁপে উঠেছে মণিপুর (Manipur)। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দফায় দফায় হিংসায় কেঁপে উঠেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটি। মণিপুরের হিংসা এখন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, সর্বত্র চলছে গণবিক্ষোভ। এদিকে, জাতিগত হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরে নিরাপত্তার জন্য প্রায় ২০০০ জওয়ান নিয়ে গঠিত দুটি নতুন সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়ন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

৫৮ নম্বর ব্যাটিলয়নকে তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল থেকে সরানো হচ্ছে এবং ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নকে ঝাড়খণ্ডের লাতেহার থেকে সরানো হচ্ছে। সকলে মণিপুরে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রথম ইউনিটের সদর দফতর হবে মণিপুরের কাংওয়াই (চূড়াচাঁদপুর) এবং দ্বিতীয় ইউনিটের সদর দফতর হবে ইম্ফলের আশেপাশে। মণিপুর থেকে অসম রাইফেলসের দু’টি ব্যাটেলিয়নকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বের আরও কিছু অংশে অপারেশনাল ডিউটির জন্য প্রত্যাহারের পরে এই পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

   

এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে সিআরপিএফের একটি ব্যাটেলিয়নে প্রায় ১০০০ জওয়ানের অপারেশনাল শক্তি থাকে। সূত্রের খবর, মণিপুরে সিআরপিএফ জওয়ানদের জন্য দুটি ড্রোন বন্দুক, যা ড্রোন বা মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) জ্যাম করে বা পিছু হটতে পারে। এই ধরনের আরও কিছু প্রযুক্তিগত যন্ত্র শীঘ্রই মণিপুরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।

এক সরকারি আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, “যে দুটি ইউনিট এগিয়ে চলেছে তাদের মধ্যে এমন কর্মীরা রয়েছেন যারা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা দায়িত্বে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাদের কিছু লজিস্টিক, আবাসন, সরঞ্জাম এবং অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে এবং এটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”