নয়াদিল্লি: ভারতের খনিজ সম্পদের দক্ষ ব্যবহার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার খনিজ (নিলাম) নিয়ম, ২০১৫-এ গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী এনেছে। এই সংশোধনীতে মধ্যবর্তী সময়সীমা প্রবর্তন করা হয়েছে, যাতে নিলামে বরাদ্দকৃত খনিগুলো দ্রুত চালু করা যায়। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮৫টিরও বেশি খনি সফলভাবে নিলাম করা হয়েছে।
নতুন নিয়মে দেরিতে খনি চালু করার জন্য জরিমানার বিধান এবং দ্রুত উৎপাদন শুরু করার জন্য ইনসেনটিভ হিসেবে শুল্কে ছাড়ের মতো সুবিধা চালু করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ ভারতের খনি শিল্পকে আরও স্বচ্ছ, দক্ষ এবং উৎপাদনমুখী করে তুলতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।নতুন সংশোধনীতে খনি চালুর প্রক্রিয়াকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই গ্রামে দীপাবলি উদযাপন হয় না, কারণ বলতেও মানুষ ভয়ে কাঁপে!
অতীতে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নিলামে বরাদ্দের পরও খনিগুলো বিভিন্ন প্রশাসনিক, আইনি বা পরিবেশগত জটিলতার কারণে বছরের পর বছর বন্ধ থেকেছে। এতে দেশের খনিজ সম্পদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়নি। কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই সংশোধনীগুলোর লক্ষ্য হলো খনি চালুর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা এবং বিলম্বের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করা।
পাশাপাশি, যারা দ্রুত উৎপাদন শুরু করবে, তাদের জন্য শুল্কে ছাড়ের মতো প্রণোদনা দেওয়া হবে।” এই পদক্ষেপের ফলে খনি শিল্পে বিনিয়োগ বাড়বে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।২০১৫ সালে খনিজ (নিলাম) নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকে ভারতের খনি শিল্পে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
এই নিয়মের অধীনে কয়লা, লৌহ আকরিক, বক্সাইট, চুনাপাথরসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদের নিলাম প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই নিলামের মাধ্যমে ৫৮৫টিরও বেশি খনি বরাদ্দ করা হয়েছে, যা দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে, অনেক খনি এখনও উৎপাদন পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
উদাহরণস্বরূপ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে লৌহ আকরিক খনি নিয়ে পরিবেশগত অনুমোদন এবং স্থানীয় বিরোধের কারণে বিলম্ব হয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নতুন সংশোধনীতে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেমন ভূতাত্ত্বিক জরিপ, খনন পরিকল্পনা এবং পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য মধ্যবর্তী সময়সীমা।নতুন নিয়মে জরিমানার বিধানও চোখে পড়ার মতো।
যদি কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খনি চালু করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের আর্থিক জরিমানা দিতে হবে। এই জরিমানার পরিমাণ খনির ধরন এবং বিলম্বের সময়ের উপর নির্ভর করবে। অন্যদিকে, যারা দ্রুত উৎপাদন শুরু করবে, তারা শুল্কে ছাড় এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পাবে।
এই প্রণোদনার লক্ষ্য হলো বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা এবং খনিজ সম্পদের দ্রুত ব্যবহার নিশ্চিত করা। একজন শিল্প বিশ্লেষক বলেন, “এই সংশোধনী খনি শিল্পে একটি নতুন গতি আনবে। দ্রুত উৎপাদন শুরু হলে ইস্পাত, সিমেন্ট এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো শিল্পগুলোর জন্য কাঁচামালের ঘাটতি কমবে।”