আম্বানি পার্টনারদের থেকে ২৪ হাজার ৫০০ কোটি দাবি মোদী সকারের

ভারতের বৃহত্তম কর্পোরেট সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং তাদের দুই পার্টনার, বিপি এক্সপ্লোরেশন এবং নিকোরের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ২.৮১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৪…

https://kolkata24x7.in/wp-content/uploads/2025/03/ambani.jpg

short-samachar

ভারতের বৃহত্তম কর্পোরেট সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং তাদের দুই পার্টনার, বিপি এক্সপ্লোরেশন এবং নিকোরের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ২.৮১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দাবি করেছে। শেয়ার বাজারে সম্প্রতি এই তথ্য জানানো হয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এক ফাইলিংয়ের মাধ্যমে। এই অর্থটি একটি গ্যাস ড্রিলিং বিবাদ সংক্রান্ত মামলা সম্পর্কিত, যা ২০১৬ সাল থেকে চলছে।

   

এটি মূলত কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকার ‘কেজি ডি ৬’ ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন সংক্রান্ত একটি মামলা, যেখানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও তাদের পার্টনার বিপি এক্সপ্লোরেশন এবং নিকোর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল। সম্প্রতি, দিল্লি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় রিলায়েন্সের বিপক্ষে রায় দেয়, যার পরেই সরকার এই অর্থ দাবি করে। ১৪ এপ্রিল এই রায় দেওয়ার পর রিলায়েন্স শেয়ার বাজারে একটি ফাইলিং দিয়ে জানায়, তারা আইনি পরামর্শ পেয়েছে যে এই রায় স্থায়ী হবে না।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ দাবি করেছে যে, তারা যে গ্যাস উত্তোলন করেছে, তা ‘কেজি ডি ৬’ ব্লক থেকে নিয়ম অনুযায়ী এবং সরকারের অনুমোদিত মাপে ছিল। তাদের মতে, দিল্লি হাইকোর্টের রায় ভুল এবং তারা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে। রিলায়েন্স আরও জানায়, এই রায়ের ফলে তাদের উপর কোনো আর্থিক বোঝা চাপবে না, কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে, সুপ্রিম কোর্ট এই রায় পরিবর্তন করবে। রিলায়েন্সের শেয়ার বাজার ফাইলিংয়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আইনি পরামর্শের ভিত্তিতে, তারা বিশ্বাস করে যে দিল্লি হাইকোর্টের রায়টি তাদের পক্ষে আসবে না এবং তারা কোনো অর্থ পরিশোধ করবে না।

রিলায়েন্সের কাছে এই রায়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মতো, কারণ এটি তাদের ব্যবসার ভবিষ্যত এবং তেল-গ্যাস খাতের মধ্যে তাদের অবস্থানকে প্রভাবিত করতে পারে। যদিও এই বিবাদ এখনো আদালতে চলছে, তবে এটি ভারতীয় তেল ও গ্যাস খাতের ভবিষ্যতের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। এই ঘটনাটি শুধুমাত্র ভারতের তেল ও গ্যাস খাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক পরিসরে বিনিয়োগকারীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রিলায়েন্স এবং তাদের পার্টনারদের এই ধরনের বিতর্কগুলোর প্রভাব ভারতের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক পরিবেশে পড়তে পারে।

এদিকে, ভারতের তেল ও গ্যাস সংক্রান্ত নীতির ওপর এমন সিদ্ধান্তগুলো বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভবিষ্যতে অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকেও প্রভাবিত করতে পারে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ইতিমধ্যেই একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে চলেছে, এবং তাদের এই আইনি বিরোধের ফলাফল তাদের ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক কৌশলগুলোকে নতুন করে নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। তাদের ওপর এই চাপ থাকলেও, তাদের কৌশলগত পদক্ষেপ এবং আইনি প্রতিরোধ যে আরও কঠিন হতে চলেছে, তা স্পষ্ট।