নবরায়পুর: ছত্তিশগড়ের রাজ্য গঠনের ২৫তম বর্ষীয় উৎসবে আজ এক অভূতপূর্ব উপস্থিতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিশেষ দিনে রাজ্যের নবরায়পুরে পৌঁছে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন, যার মধ্যে ছিল ব্রহ্মাকুমারীদের ‘শান্তি শিখর’একটি আধুনিক আধ্যাত্মিক শিক্ষা, শান্তি ও ধ্যান কেন্দ্র।
সকাল ১০টার দিকে শ্রী সত্য সাই সঞ্জীবনী হাসপাতালে ‘দিল কি বাত’ কর্মসূচির মাধ্যমে ২৫০০ শিশুদের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা যারা জন্মগত হৃদরোগ থেকে সুস্থ হয়েছে, তারপরই প্রায় ১০:৪৫ মিনিটে এই কেন্দ্রটির উদ্বোধন করলেন। এই ঘটনা শুধুমাত্র ছত্তিশগড়ের উন্নয়নের প্রতীক নয়, বরং ভারতের আধ্যাত্মিক জাগরণের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।ছত্তিশগড়ের রাজ্য গঠন দিবসের এই রাজত মহোৎসবের মূল সারাংশ হল প্রায় ১৪,২৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প।
সাবধান! এই জিনিস দিয়ে টিভি পরিষ্কার করলে নষ্ট হবে স্ক্রিন, রইল টিপস
কিন্তু ‘শান্তি শিখর’-এর উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদী যেন সেই উন্নয়নকে একটি মানসিক ও আধ্যাত্মিক মাত্রা দিয়েছেন। ব্রহ্মাকুমারী ইনস্টিটিউশন, যা বিশ্বব্যাপী শান্তি ও ধ্যানের প্রচারে পরিচিত, এই কেন্দ্রটিকে একটি আধুনিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। নবরায়পুরের আতাল নগর অঞ্চলে অবস্থিত এই ভবনটি শুধুমাত্র ধ্যানের জন্য নয়, বরং আধ্যাত্মিক শিক্ষা, শান্তি অধ্যয়ন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য ডিজাইন করা।
এখানে আধুনিক সুবিধা যেমন ডিজিটাল লাইব্রেরি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি আর্কিটেকচার রয়েছে, তেমনি এটি সৌরশক্তি চালিত এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত। প্রধানমন্ত্রী মোদী উদ্বোধনের সময় বললেন, “আজকের দুনিয়ায় উন্নয়ন শুধু সড়ক-বাঁধনী নয়, মনের শান্তিও। ‘শান্তি শিখর’ আমাদের তরুণদের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হয়ে উঠবে, যা তাদের জীবনে সত্যিকারের শান্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।”
তাঁর এই কথাগুলো শ্রোতাদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। ব্রহ্মাকুমারীদের এই উদ্যোগটি ছত্তিশগড়ের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যের বহু অংশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত, এবং এই কেন্দ্রটি তাদের প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মিলিয়ে নতুন করে উপস্থাপন করবে। কল্পনা করুন, একদিকে নবরায়পুরের স্মার্ট সিটির উন্নয়ন, অন্যদিকে এমন একটি স্থান যেখানে হাজারো মানুষ ধ্যান করে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রহ্মাকুমারীদের প্রধান নেতৃবৃন্দ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং হাজারো অনুসারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ধ্যানের একটি সংক্ষিপ্ত অধিবেশন হয়েছে, যাতে সকলে অংশ নিয়েছেন। এটি যেন সেই দৃশ্য যা ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির একটি সুন্দর ছবি তুলে ধরে যেখানে বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা একসঙ্গে হাঁটে।
