‘বাংলাদেশি ভাষা’তেই মোদীর বার্তা, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন ছাড়ুন তো ওসব!

‘আরে ছাড়ুন তো ওসব, সবাই জানে অমিত মালব্য গল্প দেয়! মোদীজী তো বাংলা ভাষাতেই বার্তা (Modi Bengali) দিয়েছেন। এরপর আর কিছু বলার থাকে’-বঙ্গ বিজেপি নেতা…

PM Modi Durgapur Rally: No TMC Setting, Focus on Corruption-Free Bengal and Industrial Revival

‘আরে ছাড়ুন তো ওসব, সবাই জানে অমিত মালব্য গল্প দেয়! মোদীজী তো বাংলা ভাষাতেই বার্তা (Modi Bengali) দিয়েছেন। এরপর আর কিছু বলার থাকে’-বঙ্গ বিজেপি নেতা এভাবেই বিড়ম্বনা পাশ কাটালেন। তিনি অবশ্য কলকাতা কেন্দ্রিক নন। জেলাস্তরে সাংগঠনিক কাজ করেন।

বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য লিখেছিলেন ‘বাংলা কোনো ভাষা নয়’। পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি চিহ্নিত করে হেনস্থার অভিযোগে বঙ্গ রাজনীতি সরগরম। দিল্লি পুলিশের বিতর্কিত দাবি ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলাদেশি ভাষায় কথা বলেন। আর দিল্লি পুলিশের সমর্থনে বার্তায় অমিত মালব্য লিখেছিলেন বাংলা কোনো ভাষা নয়।

   

বঙ্গ বিজেপির সমর্থকদের অনেকেই বলছেন, অমিত মালব্যর এমন বার্তা আগামী বিধানসভা নির্বাচলে দলের অবস্থান বাঙালি বিরোধী করে দিয়েছে। খোদ শাসক দল তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুটি বহুল ব্যবহার করে ফায়দা কুড়োচ্ছেন। আর বিগত শাসক দল সিপিআইএম একই কায়দায় নিজেদের জমি ফের শক্ত করতে শুরু করেছে।

উল্লে়খ্য, বাংলা কোনো ভাষা নয় বিতর্কে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য নীরব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চুপ। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আপাতত দলে কোনঠাসা। তিনিও ইস্যুটি নিয়ে নীরব। তিনি কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভায় য়াওয়ার আমন্ত্রণ না পেয়ে হতাশ।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী প্রচারের সূচনা করবেন তিনি। শুক্রবার পাটনা থেকে কলকাতা পৌঁছবেন। এরপর সড়কপথে তিনি যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে যাবেন। সেখানে তিনি মেট্রো রেল সহ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

মোদীর এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে “আগামীকাল,২২শে আগষ্ট, আমি বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ এই দুই রাজ্যের উন্নয়নের সহায়ক নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যাবো…”

পরপর বাংলায় পোস্টের পর সামাজিক মাধ্যমেই নেটিজেনদের কটাক্ষ, শেষে মোদীও বাংলাদেশি ভাষায় পোস্ট করলেন! নেটিজেন কটাক্ষে বেসামাল বিজেপি। ‘ছাড়ুন তো’ বলে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের অনেকেই বিষয়টি পাশ কাটাচ্ছেন।