ফিলিপিন্স সরকার সম্প্রতি ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, (Modi)যা ভারত ও ফিলিপিন্সের মধ্যে পর্যটন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারত এই সিদ্ধান্তকে উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছে এবং পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ফিলিপিন্সের নাগরিকদের জন্য ফ্রি ই-ভিসা সুবিধা প্রদানের ঘোষণা করেছে।
এছাড়াও, চলতি বছরের মধ্যে দিল্লি ও ম্যানিলার মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা শুরু করার জন্য কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি দুই দেশের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরও উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।ফিলিপিন্সের ভিসা-মুক্ত প্রবেশের সিদ্ধান্ত ভারতীয় পর্যটকদের জন্য একটি বড় সুযোগ।
ফিলিপিন্স তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমুদ্র সৈকত, দ্বীপপুঞ্জ এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। বোরাকাই, পালাওয়ান, সেবু এবং ম্যানিলার মতো গন্তব্য ভারতীয় পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ভিসা-মুক্ত প্রবেশের ফলে ভারতীয়রা এখন কোনও জটিল প্রক্রিয়া বা অতিরিক্ত ব্যয় ছাড়াই ফিলিপিন্সের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
এই সিদ্ধান্ত ভ্রমণ প্রক্রিয়াকে সহজ করার পাশাপাশি ফিলিপিন্সকে ভারতীয় পর্যটকদের কাছে আরও জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।অন্যদিকে, ভারত সরকারের ফ্রি ই-ভিসা সুবিধা ফিলিপিনো পর্যটকদের জন্য ভারত ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। ভারতের ঐতিহাসিক স্থান, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিলিপিনো পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ।
তাজমহল, জয়পুরের রাজকীয় প্রাসাদ, কেরালার ব্যাকওয়াটার, গোয়ার সমুদ্র সৈকত এবং হিমালয়ের মনোরম পর্বতমালা ফিলিপিন্সের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রি ই-ভিসা সুবিধার মাধ্যমে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় ফিলিপিনো পর্যটকরা সহজেই ভারতের এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবেন।দিল্লি ও ম্যানিলার মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা দুই দেশের মধ্যে সংযোগ আরও শক্তিশালী করবে।
বর্তমানে ভারত ও ফিলিপিন্সের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় পর্যটকদের সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক বা কুয়ালালামপুরের মতো শহরে ট্রানজিট করতে হয়, যা সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে ভ্রমণ আরও সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী হবে। এই উদ্যোগ শুধু পর্যটনের ক্ষেত্রেই নয়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।ভারত ও ফিলিপিন্সের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
এই নতুন পদক্ষেপগুলি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে বিনিময়কে আরও গভীর করবে। ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক স্থান এবং ফিলিপিন্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আতিথেয়তা দুই দেশের নাগরিকদের একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে আসবে। এই পদক্ষেপ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই সিদ্ধান্ত পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে ফিলিপিন্সের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং ফিলিপিনো পর্যটকদের জন্য ভারত একটি পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠবে। এছাড়াও, সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
দুই দেশের ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং পর্যটকরা এই সুবিধার মাধ্যমে আরও সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন।এই পদক্ষেপ ভারত-ফিলিপিন্স সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। পর্যটনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে।
আইএসআইকে ভারতের প্রতিরক্ষা অভিযানের তথ্য ফাঁসে আটক DRDO ম্যানেজার
ভিসা-মুক্ত প্রবেশ ও ফ্রি ই-ভিসা সুবিধা দুই দেশের জনগণের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করবে, যা ভবিষ্যতে আরও ফলপ্রসূ সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে। এই উদ্যোগ দুই দেশের পর্যটন শিল্পে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।