থানায় পাথর নিক্ষেপ উত্তেজিত জনতার, রণক্ষেত্র কর্নাটক

পুলিশ স্টেশনকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটল কর্নাটকে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কর্ণাটকের ধারওয়াদ জেলার পুরানো হুবলি পুলিশ স্টেশনে একটি জনতা পাথর নিক্ষেপ…

পুলিশ স্টেশনকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটল কর্নাটকে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কর্ণাটকের ধারওয়াদ জেলার পুরানো হুবলি পুলিশ স্টেশনে একটি জনতা পাথর নিক্ষেপ করার ঘটনায় প্রায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রায় ১২ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশের কিছু গাড়িও ভাঙচুর করেছে জনতা।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। এহেন ঘটনার পর শহরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হুবলি-ধারওয়াড়ের পুলিশ কমিশনার লাবু রাম জানান, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

   

তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত৷ অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার মতো পোস্ট শেয়ার করেন এক যুবক৷ তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় ওই সম্প্রদায়ের মানুষ৷ পুলিস ওই যুবককে গ্রেফতার করে৷ কিন্তু পুলিশের পদক্ষেপে অখুশি ওই সম্প্রদায়ের মানুষ ওল্ড হুবলি থানার সামনে জড়ো হন৷ তারপরেই উত্তেজিত জনতার শুরু হয় তাণ্ডবলীলা।

এদিকে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এটিকে একটি সংগঠিত আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে এর পিছনে থাকা সংস্থাগুলির জানা উচিত যে রাজ্য এই ধরনের ঘটনা সহ্য করবে না।তিনি বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারাই আইন হাতে তুলে নেবে, আমাদের পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না। তারা যেই হোক না কেন… সুতরাং, এর পিছনে যারাই থাকুক না কেন এবং জনতাকে উসকানি দেয় তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। আমি এ ধরনের ঘটনার পেছনে থাকা সংগঠনগুলোকে বলতে চাই, আইন ভঙ্গ করবেন না। কর্ণাটক রাজ্য এটা সহ্য করবে না।” অন্যদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার অবস্থা গুরুতর এবং তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।