বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) পুলিশের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে, কারণ তারা গর্ভপাত করতে ইচ্ছুক নাবালিকা মেয়েদের নাম ও পরিচয় প্রকাশে ডাক্তারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যদিও সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বিচারপতি রেবতী মোহিতে ডেরে এবং নীলা গোখলের বেঞ্চ ২৮ জুলাই মন্তব্য করেন, এই ধরনের জোরাজুরি কেবল নাবালিকা ভুক্তভোগী ও চিকিৎসকদের হয়রানি করার সমান।
শহরের এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আদালতে আবেদন করেছিলেন যাতে তিনি পুলিশের কাছে রোগীর পরিচয় গোপন রেখে নাবালিকা মেয়েটির গর্ভপাত করাতে পারেন। আবেদনকারীর আইনজীবী মীনাজ কাকালিয়া উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, গর্ভপাত সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলায় ডাক্তারদের নাবালিকার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে হবে না।
আবেদনে জানানো হয়, মেয়েটি তার পরিচিত এক ছেলের সঙ্গে সম্মতিসূচক সম্পর্কে জড়িয়ে বর্তমানে ১৩ সপ্তাহের গর্ভবতী। সে ও তার বাবা-মা গর্ভপাতের পক্ষে, তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক।
হাইকোর্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে রোগীর নাম প্রকাশে বাধ্য না করেই গর্ভপাত সম্পাদনের অনুমতি দিয়েছে। আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ডাক্তাররা পুলিশের চাপে অনুমতি নিতে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছেন।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়টি মহারাষ্ট্রের সব থানায় প্রচার করতে হবে। এছাড়া, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদেশের একটি অনুলিপি রাজ্যের পুলিশ মহাপরিচালকের কাছেও পাঠাতে হবে।