ফের শিরোনামে লখিমপুর খেরি। জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুন উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার রামপুরের একটি গ্রামে এক নাবালিকার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গণধর্ষণ ও খুনের নৃশংস ঘটনায় বড় বোন-সহ সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বড় বোনের চার প্রেমিক মিলে গণধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পর দেহ আখের জমিতে ফেলে রেখে সকলে পালিয়ে যায়। জঘন্য এই অপরাধের পর নির্যাতিতার বড় দিদি বেশ কয়েকদিন চুপ করে থাকে। যদিও পুলিশ যখন তাকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন সে পুরো রহস্যটি প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন সদর কোতোয়ালি এলাকার রামপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত একটি গ্রামের আখের জমি থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় সদর কোতোয়ালিতে হত্যার ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়। এ ঘটনায় সদর কোতয়ালী থানা পুলিশ সাফল্য লাভ করে এবং নিহত কিশোরীর বড় বোনসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন জানান, মৃতার বড় বোন গ্রামের চারজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল এবং মৃত মেয়েটি তার বড় বোনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল। তিনি যেদিন এসেছিলেন, সেদিনই বড় বোনের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে মৃতের। গত ২৮ জুন মৃতার বড় বোন তাকে নিয়ে একটি আখের জমিতে শৌচকর্মের জন্য নিয়ে যায়। বড় বোনও তার চারো প্রেমীদের পুরো পরিকল্পনা করে খামারে ডেকে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে আরও দুই যুবকও এসেছিল। এর পর বড় বোনের সামনেই গ্রামের চার যুবক পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
জানা যাচ্ছে, যে সময় ওই কিশোরকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল, সেই সময় তার বড় বোন নিজেই তার হাত ধরে ছিল। গণধর্ষণের পর সেখানে উপস্থিত সবাই মিলে ওই কিশোরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।