জীবিত মন্ত্রীকে ফেসবুকে ‘মৃত’ বলে প্রচার মিমির, বিতর্কে নীরব

ভুয়ো বার্তা নাকি ভুল বার্তা ? এই প্রশ্ন তাড়া করছে বিধায়ককে। তবে তিনি নীরব। কেন এই নীরবতা?এ নিয়েও তীব্র শোরগোল। আর মন্ত্রীর পরিবার বলছে ‘ছি:…

BJP

ভুয়ো বার্তা নাকি ভুল বার্তা ? এই প্রশ্ন তাড়া করছে বিধায়ককে। তবে তিনি নীরব। কেন এই নীরবতা?এ নিয়েও তীব্র শোরগোল। আর মন্ত্রীর পরিবার বলছে ‘ছি: ছি:, মিমি যদি ভুল করে লিখেই থাকেন তবে স্বীকার করছেন না কেন।’

ঘটনার কেন্দ্রে ত্রিপুরার রাজস্বমন্ত্রী তথা জোট সরকারের শরিক দল আইপিএফটি শীর্ষ নেতা এন সি দেববর্মাকে নিয়ে বিজেপি বিধায়ক মিমি মজুমদারের ফেসবুক পোস্ট। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক মিমি মজুমদার কোনও কিছু যাচাই না করেই জীবিত মন্ত্রীকে মৃত বলে তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করে দেন।

বিজেপি জোট সরকারের প্রবীণ মন্ত্রী অসুস্থ। তাঁকে ঘরে গিয়ে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সুস্থতা কামনা করেছেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এন সি দেববর্মার পরিবার সূত্রে খবর, তিনি বাড়িতে আছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছেন।

এদিকে বিধায়ক মিমি মজুমদারের পোস্টের পরেই ত্রিপুরা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রশাসন ও রাজস্ব দফতর থেকে পরপর ফোন আসতে থাকে। হতচকিত হয়ে পড়েন এন সি দেববর্মার আত্মীয়রা। তিনি যে বেঁচে আছেন সেই বার্তা প্রশাসনকে জানানো হয়। পরিবারের তরফে এও বলা হয়েছে, কী করে একজন জনপ্রতিনিধি কিছু যাচাই না করে এমন ভুল পোস্ট করলেন। আরও অভিযোগ আসছে, বিধায়ক মিমি মজুমদার ভুয়ো প্রচার চালিয়েছেন।

অভিযোগে জর্জরিত বিধায়ক পরে পোস্ট সরিয়ে নেন। তবে তিনি নীরব থাকায় বিতর্ক আরও বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী শিবির থেকে কটাক্ষ করা হচ্ছে, এটি ইচ্ছাকৃত।

গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের উপজাতি এলাকার দল আইপিএফটির সঙ্গে জোট করে বিজেপি সরকার গড়ে। এই জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় এন সি দেববর্মা প্রবীণতম ব্যক্তি। মন্ত্রিসভায় থাকলেও জোটের আর কিছুই নেই বলে আইপিএফটির তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে। উপজাতি এলাকার ভোটে দলটি পৃথক লড়াই করে।

বিজেপি ও আইপিএফটি জোট যে আসন্ন বিধানসভার ভোটে থাকছে না এমন ইঙ্গিত আসতে শুরু করেছে। উপজাতি এলাকাতে আইপিএফটি এখন শক্তিহীন। উঠে এসেছে তিপ্রা মথা।