MiG-21-কে এইভাবে কেন বিদায় জানানো হল, ওয়াটার ক্যানন স্যালুট কী?

নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর: আজ জলকামান স্যালুটের (Water Cannon Salute) মাধ্যমে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানটিকে বিদায় জানানো হয়। আজ দেশব্যাপী এই ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে, জেনে…

Water Cannon Salute to MiG 21

নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর: আজ জলকামান স্যালুটের (Water Cannon Salute) মাধ্যমে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানটিকে বিদায় জানানো হয়। আজ দেশব্যাপী এই ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে, জেনে নিন ‘ওয়াটার ক্যানন স্যালুট’ কী এবং কখন এটি দেওয়া হয়। (Indian Air Force)

Advertisements

Indian Air Force: Water Cannon স্যালুট কী?
ওয়াটার ক্যানন স্যালুট সম্মানের একটি বিশেষ রূপ। বিমানকে বিদায় জানানো একটি ঐতিহ্য। এই পদ্ধতিটি মূলত বিমানবন্দর এবং বিমানঘাঁটিতে ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়ায়, বিমানের উভয় পাশে দুটি অগ্নিনির্বাপক ইঞ্জিন স্থাপন করা হয় এবং উপরের দিকে জল স্প্রে করা হয়। এই যানবাহনগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, বিমানটির উপর জলের ধারা পড়ে। এই প্রক্রিয়াটিকে জলকামান স্যালুট বলা হয়। নতুন বিমানকে স্বাগত জানানোর সময় এবং বিদায়ী বিমানগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার সময় এই সম্মান দেওয়া হয়।

   

MiG 21 retires

Water Cannon Salute: ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ-২১ অবসর নিল
শুক্রবার বায়ুসেনার শেষ মিগ-২১ যুদ্ধবিমানটি অবসর নিল। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে সেবা প্রদানের পর, বিমানটির যুগের এখন অবসান ঘটেছে। এই অনুষ্ঠানটি চণ্ডীগড়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে অনেকেই এতে অংশগ্রহণ করেন।

Water Cannon Salute: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ভারত এখন দ্রুত দেশীয় তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির উপর নির্ভর করছে। একই সাথে, ভারত বিদেশী বিমান কেনার কথাও বিবেচনা করছে। এগুলো ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হবে। বর্তমানে ভারতের কাছে রাফায়েল, মিরাজ ২০০০, রাশিয়ান সু-৩০, মিগ-২৯ এবং তেজাসের মতো যুদ্ধবিমান রয়েছে।

MiG-21

Water Cannon Salute: মিগ-২১ বিমানের ইতিহাস
এই বিমানটি ১৯৬০-এর দশকে পরিষেবাতে প্রবেশ করে, ভারতীয় বিমান বাহিনীকে এক নতুন শক্তি প্রদান করে। এটি বেশ কয়েকটি যুদ্ধে পাকিস্তানি এবং চিনা সেনাবাহিনীর উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে ভারত প্রায় ৮৭২টি মিগ বিমান কিনেছিল, যা এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম অপারেটরে পরিণত করেছিল। তবে, ১৯৭১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কয়েকটি ঘটনা এটিকে ফ্লাইং কফিনের খ্যাতি এনে দেয়।