শ্রীনগর: ২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ (Article 370) বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর উপত্যকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপি। সড়ক, রেল, সেতু নির্মাণের পাশাপাশি একাধিক রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল সহ বিনোদন, রোজগার বৃদ্ধি, পর্যটনের উন্নতি ইত্যাদির মাধ্যমে কাশ্মীরের চেহারাই পাল্টে দেওয়া হয়েছে বলে একাধিকবার দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে উন্নয়নের নামে ভূস্বর্গের জমি, অরণ্য, নদী ঠিকাদারদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার বলে অভিযোগ করলেন পিডিপি (PDP) নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, “সরকার সামান্য কিছু মূল্যের বিনিময়ে সরকার আমাদের জমি, নদীনালা, অরণ্য ঠিকাদারদের হাতে তুলে দিচ্ছে আর তাঁরা নিজেদের ইচ্ছেমত সেগুলোকে নষ্ট করছে।”
ছয়-লেন বিশিষ্ট অমৃতসর থেকে কাটরা হাইওয়ে নিয়ে মুফতির বক্তব্য, “এরা কি বোঝে না যে ঈশ্বর কেন এত উঁচু পাহাড়, বনানী বানিয়েছেন! ওরা মন্দির, ধর্মীয় স্থানের সংখ্যা কমিয়ে তার পরিবর্তে সেখানে পিকনিক স্পট তৈরি করছে।” ঠিকাদারদের দৌরাত্ম্যে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কার্যত শেষ হতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে পিডিপি নেত্রী আরও বলেন, “উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রার জন্য যে এত নির্মাণকাজ করা হল, তার ফল কি হল? বর্তমানে দুটি ধাম বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”
নির্মাণকাজের জন্য ঠিকাদাররা প্রকৃতিকে শেষ করে দিচ্ছে বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুফতি। তিনি বলেন, “কাটরা রোপওয়ে বানানোর জন্যও বহু গাছ কাটা হবে। আমরা সচেতন হয়ে সরকারকে না থামালে ওরা থামবে না। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট (SC) এবং গ্রিন ট্রাইবুনালও (Green Tribunal) ওদের থামাতে পারেনি। খননের ফলে আমাদের নদীগুলো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে”।
উল্লেখ্য, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্মাণ, বৃক্ষচ্ছেদনের কারণে ধ্বসের প্রবণতা দিনদিন বাড়ছে বলে একাধিকবার সরব হয়েছে পরিবেশবিদরা। আধুনিকতা এবং উন্নয়নের তাগিদে প্রকৃতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরাও।