ভারতীয় শিল্পকলা জগতে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে বিহারের ঐতিহ্যবাহী মধুবনী শিল্প। এই লোকশিল্পটি তার উজ্জ্বল রঙ এবং জটিল নকশার জন্য পরিচিত এবং বহু বছর ধরে মিথিলা অঞ্চলের সাংস্কৃতিক চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি এই শিল্পের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন(Nirmala Sitaraman) ২০২৫ সালের বাজেট পেশের জন্য দুলারী দেবী প্রদত্ত একটি মধুবনী শাড়ি পরিধান করেন।
ক্রেডিট আউটরিচ ইভেন্টে অনুষ্ঠিত মধুবনির মিথিলা আর্ট ইনস্টিটিউটে সীতারামনের(Nirmala Sitaraman) সঙ্গে বৈঠকের সময় দুলারী দেবী এই শাড়িটি তাকে উপহার দেন। দুলারী দেবী সীতারামনকে অনুরোধ করেন, তিনি বাজেটের দিন এই শাড়িটি পরিধান করবেন, যা সীতারামন সম্মানসহ মেনে নেন।
দুলারি দেবী মধুবনির রান্তি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অনগ্রসর দলিত সম্প্রদায়ে বেড়ে ওঠেন দুলারি দেবী । প্রাথমিকভাবে দুলারি তার কুটিরের মেঝেতে ডালপালায় নকশা আঁকতেন। পরে তিনি খ্যাতনামা মধুবনী শিল্পীরা মহাসুন্দরি দেবী এবং কার্পুরি দেবীর জন্য কাজ করতে শুরু করেন। মহাসুন্দরি দেবী তাকে মধুবনী চিত্রকলা, যা মিথিলা শিল্প হিসেবে পরিচিত শিখতে সহায়তা করেন। এরপর থেকে তার শিল্পের বিকাশ ঘটে এবং তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন।
দুলারি দেবী তার কাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে উপস্থাপন করেন। ২০২১ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়া দুলারী দেবী তার শিল্পের সংরক্ষণ এবং প্রচারে অনন্য অবদান রেখেছেন।
নির্মলা সীতারামন(Nirmala Sitaraman) ইতিমধ্যেই মোদি ৩.০ সরকারের অধীনে তার দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আটটি অবিচ্ছিন্ন বাজেট উপস্থাপন করার মাধ্যমে তিনি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপনের রেকর্ড তৈরি করেছেন।