উত্তরপ্রদেশের মিরাটে (Meerut) একটি মর্মান্তিক ঘটনায় শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, পুলিশ একজন মৌলানাকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ, তিনি মাদ্রাসার এক ২২ বছর বয়সী ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন এবং গর্ভবতী হওয়ার পর তাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করতে বাধ্য করেছেন। ভুক্তভোগী, যিনি বিহারের বাসিন্দা, জানিয়েছেন যে মৌলানার স্ত্রী এই অপরাধে সহায়তা করেছেন এবং তাকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিরাট সিটি পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট আয়ুষ বিক্রম সিং জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তিন বছর আগে এই মাদ্রাসায় পড়তে এসেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে মৌলানা তাঁর উপর বারবার যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। গর্ভবতী হওয়ার পর তাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়, এবং এই কাজে মৌলানার স্ত্রীও জড়িত ছিলেন।
এই ঘটনা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, অনেকে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিক সংহিতা (BNS) এবং অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে আরও কোনো জড়িত ব্যক্তি বা অতিরিক্ত তথ্য প্রকাশ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই ঘটনা মাদ্রাসার মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা এবং ছাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয়রা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর নজরদারি এবং আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। তদন্তের অগ্রগতি এবং ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।