নয়াদিল্লি: ভারতীয়দের মধ্যে ট্রাম্পের H-1B ভিসা বোমার প্রভাব যে কতটা আতঙ্কের তার সাক্ষী থাকল সান ফ্রান্সিস্কো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (San Francisco International Airport)। ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবারের সকাল। আমেরিকা থেকে দেশে আসার জন্য অনেকেই প্লেনে (Flight) উঠে পড়েছেন। হঠাৎ, H‑1B ভিসা ফি বৃদ্ধির খবর কানে আসে।
সান ফ্রান্সিস্কো বিমানবন্দরে যেন আতঙ্কের ঢেউ আছড়ে পড়ে ভারতীয়দের উপর। এবার আমেরিকা ছেড়ে গেলে হয়ত আর ফেরা হবে না। এই ভয়ে অনেকেই প্লেনের সিটে বসে যাওয়া সত্ত্বেও নামার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। ঘটনার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় যাত্রীতে ভরতি একটি বিমান থেকে নেমে যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে। আতঙ্কিত যাত্রীরা বিমানকর্মীদের কাছে তাঁদেরকে প্লেন থেকে নামতে দেওয়ার অনুরোধ করছেন।
এক্সে একজন ঘটনার ছবি পোস্ট করে লেখেন, “দুর্গাপুজোর জন্য সান ফ্রান্সিস্কো থেকে আসা বহু যাত্রী ভারতগামী এমিরেটস-এর বিমানে উঠেছিলেন। বোর্ডিং শেষ করে উড়ানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল বিমানটি। আচমকা H1-B ভিসা ফি বৃদ্ধির খবর শুনেই বিমান থেকে নামার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়”। ঘটনার জেরে প্রায় ৩ ঘন্টা দেরিতে ছাড়ে ওই বিমানটি।
রবিবার থেকে H1-B ভিসার জন্য গুনতে হবে বার্ষিক ১ লক্ষ ডলার!
মার্কিন কোম্পানিগুলি H-1B ভিসার ‘পদ্ধতিগত অপব্যবহার’ করেছে। কেননা, ভিসাধারীদের তুলনামূলক কম মাইনেতে নিয়োগ করা যায়। সেক্ষেত্রে আমেরিকানদের মধ্যে বেকারত্বের হার বাড়ছে। বিশেষ করে আইটি কোম্পানি গুলি বিদেশী কর্মীতে ভরে যাওয়ায় দেশের কলেজ উত্তীর্ণ আইটি ইঞ্জিনিয়ররা চাকরি পাচ্ছেন না। এই যুক্তিতে H1-B ভিসার ফি বাড়িয়ে বার্ষিক ১ লক্ষ ডলার ধার্য করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীদের থেকে শুরু করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আমেরিকায় H1-B ভিসায় কর্মরতদের মধ্যে।