দাউ দাউ করে জ্বলছে কারখানা, ভেতরে আটকে ৪০ জন শ্রমিক!

রবার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আহত ৪০ জনেরও বেশি শ্রমিক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হরিয়ানার সোনিপাতের। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই ওই কারখানায় আগুন লেগে যায়। দাহ্য পদার্থ…

massive-fire-broke-out-and-blast-cylinders-in-sonipat-rubber-factory

রবার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আহত ৪০ জনেরও বেশি শ্রমিক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হরিয়ানার সোনিপাতের। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই ওই কারখানায় আগুন লেগে যায়। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় কারখানায় কাজ করছিলেন প্রচুর শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে আটকে পড়েন ৪০-এর বেশি শ্রমিক।

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিন দুপুরে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। আচমকা কারখানায় আগুন লেগে যায়। বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা কারখানা। সিলিন্ডার বিস্ফোরণও ঘটে। শ্রমিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ৪০ জনের বেশি শ্রমিক দগ্ধ হন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই কারখানায় আটকে পড়া কর্মচারীদের উদ্ধার করা হয়েছে।

   

আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান দমকলের কর্মীরা। আগুন নেভানোর পাশাপাশি কারখানার ভেতর আটকে থাকা কর্মীদের উদ্ধারে হাত লাগান তারা। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা পর ছেড়ে দেওয়া হলেও আঘাত গুরুতর হওয়ায় অনেককে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

স্বামীজির স্থানে এবার মোদী! বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

১৬ জন শ্রমিক সিভিল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিমও গঠন করা হয়েছে।

৮ জনকে সিভিল হাসপাতাল থেকে পিজিআই-তে রেফার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কয়েকজনকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সারা জেলা থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়েছে। এদিকে কারখানার অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।

আগুন নেভানোর জন্য কারখানার ভেতরে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও দমকল। কারখানার মালিকের সঙ্গেও কথা বলছেন তারা।

ট্রেনে চড়েন অথচ জানেন না রেলের চেন টানার নিয়ম? জেল-জরিমানা থেকে বাঁচতে জানুন

সূত্রের খবর, প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মোতায়েন ছিল কারখানায়। সেই কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কী কারণে আগুন লাগল, তা এখন স্পষ্ট নয়।

দমকলের আধিকারিকরা আগুন লাগার কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। একই সঙ্গে কারখানার মালিকপক্ষ সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।