একুশে জুলাই, রবিবার। বাংলার শ্রাবণ মাসের এই বিশেষ দিনে গণবিবাহ এবং গণ-ধর্মান্তর হবে। এমনই দাবি করেছেন মৌলানা তাকির রাজা খান (Maulana Tauqeer Raza)। এ নিয়েই জোর শোরগোল। মৌলানার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে একাধিক গেরুয়া সংগঠন। বাড়ছে গোষ্ঠী সংঘর্ষের আশঙ্কা। প্রশাসনের অন্দরেও বাড়ছে উদ্বেগ।
উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাসিন্দা মৌলানা তাকির রাজা খান। ওই রাজ্যের ইত্তেহাদ ই মিলাদ কাউন্সিল বা আইএমসির প্রধান। কয়েকদিন আগে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, আগামী একুশে জুলাই অনেক অমুসলিম ইসনাম ধর্ম গ্রহণ করবেন। এ নিয়ে সুর চড়ায় একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তাঁরা দাবি, করে হিন্দুদের পবিত্র শ্রাবণ মাসে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিতে চাইছেন মৌালানা।
এখানেই বিষয়টি শেষ হয়ে যায়নি। উদ্বেগ বাড়িয়ে, বরেলি প্রশাসনের কাছে গণবিবাহ এবং গণ ধর্মান্তরের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চেয়ে অনুমতির আবেদন করেছে। এই আবেদন করা হয়েছে বরেলির ইত্তেহাদ ই মিলাদ কাউন্সিল বা আইএমসির পক্ষ থেকে। আবেদন করেছেন, সংস্থার সাংগঠনিক ইনচার্জ নাদিম কুরেশি। আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরেলির সিনিয়র পুলিশ সুপার অনুরাগ আর্য।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে এবার বড়ো পদক্ষেপ ভারতের
ধর্মীয় সংস্থার অনুষ্ঠান। এবং ধর্মান্তর বিষয়গুলি আর গোপন নেই। এ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে প্রশাসন। অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র শিশির চতুর্বেদী বলেছেন, মৌলানা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছেন। এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিক।