নয়াদিল্লি: অপারেশন সিঁদুরে নাস্তানাবুদ হওয়ার পরেও শিক্ষা হয়নি পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (JeM)। সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় অপারেশন সিঁদুরের পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জঙ্গিঘাঁটির ভিডিও পোস্ট করেছিল জইশ। এবার ভারত বিরোধী সন্ত্রাসে মহিলাদের কাজে লাগাতে চলেছে মাসুদ আজহার (Masood Azhar)। বুধবার জইশ-এর প্রমিলা বাহিনী ‘জামাত-উল-মোনিনাত’ তৈরির ঘোষণা করেছে জইশ (JeM)-প্রধান মাসুদ আজহার।
বাহাওয়ালপুরের মরকজ-উসমান-ও-আলিতেই মহিলাদের জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ ও ট্রেনিং দেওয়ার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খনর, এই মহিলা শাখার নেতৃত্ব দেবেন জাতিসংঘ দ্বারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) বোন সাদিয়া আজহার, যার স্বামী ইউসুফ আজহার অপারেশন সিঁদুরের (OPeration Sindoor) সময় ভারতীয় সেনার হাতে মারকাজে সুবহানাল্লাহতে জেইএম-এর সদর দফতরে খতম হয়।
প্রমিলা বাহিনীতে জইশ কম্যান্ডারদের স্ত্রীদের পাশাপাশি বাহাওয়ালপুর, করাচি, মুজাফফরাবাদ, কোটলি, হরিপুর এবং মানসেহরার কেন্দ্রগুলিতে অধ্যয়নরত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মহিলাদের নিয়োগ করা শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, ISIS, বোকো হারাম, হামাস, LTTE-এর মত জঙ্গি সংগঠনগুলিতে মহিলাদের নিয়োগ বহু আগে থেকেই করা হয়ে আসছে। তবে লস্কর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ এতদিন পর্যন্ত তাঁদের সংগঠন থেকে মহিলাদের দূরেই রাখত। সূত্রমতে, মহিলাদের সুইসাইড বোম্বার হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে জইশ।
ভারতে অনলাইন-নেটওয়ার্ক চালু করতে চলেছে জইশ-এর প্রমিলা বাহিনী
সূত্র জানাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে নিজেদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে চলেছে জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) মহিলা শাখা জামাত-উল-মোমিনাত (Jamaat-ul-Mominaat)। তারপর উত্তরপ্রদেশ এবং দক্ষিণভারতেও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের কার্যকলাপ ছড়াতে পারে জামাত-উল-মোমিনাত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধর্মের নামে নারীদের প্রলুব্ধ করে জঙ্গিতে পরিণত করতে চায় জইশ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মূলত ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের টার্গেট করে তাঁদের ব্যবহার করার ছক কষছে জইশ বলে মনে করা হচ্ছে। জইশ-ই-মহম্মদের বিজ্ঞপ্তিতে মক্কা ও মদিনার ছবি রয়েছে যা মূলত শিক্ষিত এবং শহুরে মুসলিম মহিলাদের ধর্মীয় আবেগকে লক্ষ্য করেই তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অপারেশন সিঁদুরে আজহারের পরিবারের ১০ জনকে খতম করে ভারতীয় সেনা
আজহার আগে দাবি করেছিলেন যে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)অভিযানে তার পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং তার চার সহযোগী নিহত হয়েছেন। ১৯৯৪ সালে ভারতে গ্রেফতার হওয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া আইসি ৮১৪ হাইজ্যাকের পর মুক্তি পাওয়া আজহারের নামে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের সিঁদুর হামলায় আজহারের পরিবারের নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তার বড় বোন, তার স্বামী, এক ভাগ্নে এবং তার স্ত্রী, এক ভাগ্নে এবং বর্ধিত পরিবারের পাঁচ সন্তান।