বাম আমলে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গণহত্যায় জড়িত মাওবাদী নেতা কিষেণজি সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তবে সরকার পরিবর্তনের পরেই তার গুলিবিদ্ধ দেহ মিলেছিল। এবার নিহত কিষেণজির স্ত্রী (Sujatha Surrenders) আত্মসমর্পণ করলেন।
২০১১ সালে কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি নিহত হন। তার স্ত্রী পোথুলা পদ্মাবতী, যিনি সুজাতা নামে পরিচিত, তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে হায়দরাবাদে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি মাওবাদী দলটির একজন শীর্ষস্থানীয় নেত্রী হিসেবে ৪৩ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
সুজাতা মাওবাদী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি প্রথম প্রজন্মের সেই মাওবাদীদেশ একজন, যারা দণ্ডকারণ্যে গেরিলা অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। তার ভাইপো প্যাটেল সুধাকর রেড্ডি আরেকজন বিশিষ্ট মাওবাদী নেতা ছিলেন এবং ২০০৯ সালে নিহত হন।
সুজাতার মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এবং তিনি মাওবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার আত্মসমর্পণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি মাওবাদী ঘনিষ্ঠ প্রয়াত কবি ও কর্মী গদ্দারের সঙ্গেও কাজ করেছেন। মাওবাদী আন্দোলনের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দিকেও তার অবদান ছিল।
স্থানীয় প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পোথুলা কল্পনা ওরফে সুজাথাক্কা, ২০১১ সালে নিহত মাওবাদী নেতা কিষাণ জির বিধবা স্ত্রী। তাকে মোস্ট-ওয়ান্টেড নেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ‘ময়না’ ছদ্মনামে তেলেগু পত্রিকায় গল্প লিখতেন। মানুষ তাকে ময়নাক্কা নামেও চেনে। তিনি সর্বশেষ ছত্তিশগড় দক্ষিণ সাব জোনাল ব্যুরোর দায়িত্বে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে ১০৬টি মামলা রয়েছে।