টার্গেট কিলিং রুখতে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী

জঙ্গি দমনে ফের একবার বড়সড় সাফল্য লাভ করল জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনী । জানা গিয়েছে, সোমবার লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত এবং এর সঙ্গে যুক্ত প্রতিরোধ…

জঙ্গি দমনে ফের একবার বড়সড় সাফল্য লাভ করল জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনী । জানা গিয়েছে, সোমবার লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত এবং এর সঙ্গে যুক্ত প্রতিরোধ ফ্রন্টের (টিআরএফ) হয়ে কাজ করা দুই জঙ্গিকে এখানে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের পাকড়াও করার সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরে টার্গেট কিলিং বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

 

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, প্রতিরোধ ফ্রন্টের দুই স্থানীয় জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আপত্তিকর সামগ্রীর পাশাপাশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি পিস্তল, ৩০টি ম্যাগাজিন, ৩০০টি গুলি ও একটি সাইলেন্সার।
টার্গেট কিলিং-এর জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করার কথা ছিল

বিজয় কুমার সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেছেন যে এই পিস্তলগুলি কোনও উদ্দেশ্যে শ্রীনগরে আনা হয়েছিল।

টার্গেট কিলিং-এ প্রথমেই নিশানা করেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সম্প্রতি, কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভট্টকে এর অধীনে হত্যা করা হয়েছিল। গত ১২ মে জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগামে একটি তহসিল অফিসে ঢুকে রাজস্ব অফিসার রাহুল ভাটকে হত্যা করে জঙ্গিরা।

বুদগামে রাহুল ভাটকে হত্যার পর কাশ্মীরি পণ্ডিত কর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কর্মীরা নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরেরও দাবি করছেন। এদিকে, জঙ্গিরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার বা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকার হুমকিও দিয়েছিল।

লস্কর-ই-ইসলাম বলেছিল, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হয় উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, নয়তো মরার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ওই পোস্টারে জঙ্গি সংগঠনটি লিখেছে, ‘সমস্ত অভিবাসী এবং আরএসএস এজেন্টরা উপত্যকা ছেড়ে চলে যায় অথবা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য এমন কোনও জায়গা নেই যারা কাশ্মীরে আরেকটি ইসরায়েল চায় এবং কাশ্মীরি মুসলমানদের হত্যা করতে চায়। আপনার নিরাপত্তা দ্বিগুণ বা তিনগুণ, লক্ষ্য হত্যার জন্য প্রস্তুত থাকুন। তুমি মরে যাবে”।

সূত্রের খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সহযোগিতায় জঙ্গিরা একটি হিট লিস্ট তৈরি করেছে। এতে কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের (কাশ্মীরি পণ্ডিত) নাম রয়েছে। তাদের হত্যা করে উপত্যকায় উত্তেজনা তৈরি করতে চায় জঙ্গিরা।