পুড়ছে বিজেপি অফিস। উগ্র জনতা দেখে পালিয়ে বাঁচলেন বিজেপির নেতারা। রাজ্যে আফস্পা অর্থাত সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনটির সময়সীমা আরও ছয় মাস বাড়িয়ে দেওয়ার প্রথম দিনেই (Manipur Violence) অগ্নিগর্ভ মণিপুর। জনতার রোষে পুড়ে ছাই এ রাজ্যে সরকারে থাকা দলটির অফিস। ঘটনাস্থল থৌবল জেলা। উত্তেজিত মণিপুরীদের সামনে আর আসেনি পুলিশ ও অসম রাইফেলসের রক্ষীরা। অভিযোগ, এ রাজ্যে কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতাই আর নেই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের। পরিস্থিতি এমনই যে তিনি নিজেও আর ইম্ফলের বাইরে অন্যত্র যেতে চাইছেন না।
নতুন করে জাতিগত সংঘর্ষ ছড়াচ্ছে মণিপুরে। এই সংঘর্ষের একপক্ষ, সরকারে থাকা বিজেপির ঘনিষ্ঠ মেইতেই। তাদের প্রতিপক্ষ কুকি গোষ্ঠি। দুটি গোষ্ঠির মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষে রক্তাক্ত মণিপুর। দেড়শতাধিক নিহত। থানার পর থানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করা হয়েছে। সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই দুপক্ষ নিজ নিজ এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
মাথা কাটা এক কিশোরের ভিডিও নতুন করে মণিপুরকে গরম করে তুলেছে। তার মৃতদেহের পাশে পড়ে আছে এক কিশোরীর। দুটি খুনের ঘটনা সাম্প্রতিক নয় বলে দাবি করেছে রাজ্য পুলিশ। তবে সাম্প্রতিক অতীতে যে রক্তাক্ত সমঘর্ষ চলেছিল তখনই এই দুজনকে তালিবানি কায়দায় খুন করা হয়। রাজ্য সরকার সাময়িক ইন্টারনেট চালু করার পরই এই দুজনের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায় ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।
রাজধানী ইম্ফল থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যকে উপদ্রুত ঘোষণা করা হয়। ১৯টি থানাকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিতর্কিক আফস্পা আইন জারি থাকার সময় আরও ছয় মাস বাড়িয়ে দেওয়ার পরও মণিপুর ফের অশান্ত। বিজেপি দফতর আগুনে পুড়ে ছাই। জানা যাচ্ছে, একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ক বিজেপি ছাড়তে চলেছেন।