Manipur Violence: জ্বলছে মণিপুর। বিজেপি শাসনে এ রাজ্যে জাতি সংঘর্ষে শতশত নিহত। হাজার হাজার ঘর ছাড়া। গত এক সপ্তাহ ধরে পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে সেনা, আধা সেনা নামিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এই রাজ্যের অভ্যন্তরীণ অবস্থা রক্তাক্ত। সাম্প্রতিক ঘটনার কেন্দ্রে আছে মণিপুরের বাংলাভাষী অধ্যুষিত জেলা (Jiribam) জিরিবাম।এখানেই ১১ কুকি উপজাতি যুবককে জঙ্গি চিহ্নিত করে মারা হয়। আর শিশু-মহিলাসহ মোট ৬ জন মেইতেইয়ের দেহ মিলেছে। ফলে দুই জনগোষ্ঠীর ক্ষোভের মুখে বিজেপি সরকার।
রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সোমবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠক ও মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করেছেন 11 জন বিধায়ক। প্রায় হাফ ডজন বিধায়কের এই ‘বৈঠক বয়কট’ অবস্থানে রাজ্য সরকার সংকটে। এ রাজ্যে বিজেপির সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর।
India Today Ne জানাচ্ছে, মণিপুরে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যের এনডিএ জোট বিধায়কদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে উত্তেজনা এবং শান্তি পুনরুদ্ধারের কৌশল তৈরির আলোচনা হয়। বৈঠকে 38 জন বিধায়কের মধ্যে 27 জন উপস্থিত ছিলেন। যখন 11 জন অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে 6 জন তাদের অনুপস্থিতির জন্য অসুস্থতা ও চিকিৎসার কারণ উল্লেখ করেছেন। আর 5 জন নীরব।
তাৎপর্যপূর্ণ, গত কয়েকদিন ধরে নিজেকে অন্তরালে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। বিক্ষোভকারীরা তাঁর পৈত্রিক বাড়ি সম্পূর্ন ভেঙে দিয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় তাঁকে গোপনস্থানে রাখা হয় বলে ইম্ফলের সংবাদমাধ্যম জানায়। সোমবার (18 নভেম্বর) তিনি বৈঠক করেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সিং এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেন এবং বিধায়কদের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তবে বৈঠকে 11 জন বিধায়ক অনুপস্থিত এতে মুখ্যমন্ত্রী শংকিত বলেই জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বিক্ষোভে রাজ্যের বিজেপি দফতরগুলো আক্রান্ত। গণবিক্ষোভের চাপে একাধিক বিজেপি বিধায়ক পদত্যাগ করার বার্তা দেন।
রাজ্যে এনডিএ সরকারের দুই শরিক এনপিপি ও এনপিএফ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। আর বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর দাবি আগে থেকেই আছে। মণিপুরের জনগণ ক্রমাগত ক্ষোভে ফুঁসছেন।