রকেট হামলা-গুলিতে মণিপুরের বাঙালি অধ্যুষিত জিরিবাম রক্তাক্ত, নিহত একাধিক

প্রচণ্ড ক্রস-ফায়ারিং এবং বিস্ফোরণে মণিপুর আর যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বলছেন। শনিবার সকালে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নতুন সংঘর্ষে (Manipur Violence)…

প্রচণ্ড ক্রস-ফায়ারিং এবং বিস্ফোরণে মণিপুর আর যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বলছেন। শনিবার সকালে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নতুন সংঘর্ষে (Manipur Violence) পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে। বাঙালি অধ্যুষিত মণিপিরের জিরিবাম। এর লাগোয়া অসমের কাছাড় জেলা। দুই রাজ্যের মধ্যে জিরি নদীর জিরি ঘাট এলাকায় কড়া পুলিশি ব্যারিকেড। নদীর দুই দিকে দুই রাজ্যের বাঙালিরা প্রবল আতঙ্কিত। অসমের দিকে পালিয়ে আসছেন অনেকে।

বিজেপি শাসিত মণিপুরে ফের রক্তাক্ত পরিস্থিতি। এ রাজ্যে শান্তি ফিরে আসছে বলে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে তিনি নিজে সেখানে যাননি। রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের কটাক্ষ, মণিপুরে এসে শান্তি দেখে যান মোদী। পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ বলে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। বিশেষ ঘেরাটোপে বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যের মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বহু নিহত।

   

শনিবার জিরিবামে ঘুমন্ত অবস্থায় একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং পরবর্তীতে গুলি বিনিময়ে চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়। জঙ্গিরা জেলা সদর থেকে প্রায় 5 কিলোমিটার দূরে একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে একা বসবাসকারী ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ঘুমের মধ্যে তাকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর, জেলা সদর থেকে 7 কিলোমিটার দূরে পাহাড়ে দুইপক্ষের মধ্যে ভারী গুলি বিনিময় শুরু হয়, যার ফলে তিনজন পাহাড়-ভিত্তিক জঙ্গি সহ চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়।

মণিপুরের চুড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুর জেলার পেরিফেরি এলাকা থেকে ভারী ক্রস ফায়ারিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ত্রংলাওবি সহ বিষ্ণুপুর ও চুরাচাঁদপুরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধের পাশাপাশি বোমা ও আরপিজির গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এর আগে, ভারী গোলাগুলির প্রেক্ষিতে বি খোনম এবং এন লাইকা 2টি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়