সরকারিভাবে জানানো হয়েছে অসম রাইফেলসের ফ্ল্যাগ মার্চ চলছে। মণিপুরের পরিস্থিতি (Manipur Violence) আপাত নিয়ন্ত্রণে। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে বিজেপি শাসিত এ রাজ্যে একাধিক চার্চে আগুন ধরানোর ছবি। এর জেরে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী প্রধান অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের নাগাল্যান্ড, মিজোরামের মত খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রাজ্যগুলিতে যাতে বিক্ষোভ ছড়াতে না পারে তার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) অমিত শাহ। কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী প্রধান আরও কয়েকটি রাজ্য থেকে আসছে প্রতিবাদ।
অগ্নিগর্ভ মণিপুরে হিংসাত্মক পরিবেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সাথে প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগ রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানা গিয়েছে মণিপুরের পরিস্থিতি নজরে রাখতে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার বাতিল করেছেন অমিত শাহ। পিটিআই জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছেন।
বৃহস্পতিবার, শাহ তার সমস্ত নির্বাচনী সভা বন্ধ করে দেন এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে একাধিক বৈঠক করেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার বিষয়ে মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও অসম প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন।
মণিপুরে উপজাতি এবং রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই গোষ্ঠির মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কয়েকটি চার্চ গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা থেকে। পরে বনাঞ্চল থেকে উপজাতিদের সরানোর নির্দেশে আরও গরম মণিপুরের পরিস্থিতি। জ্বলছে মণিপুর। রাস্তায় পড়ে আছে মৃতদেহ। উত্তর পূর্বের এই বিজেপি শাসিত রাজ্যের এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি যে গণরোষে মার খেয়ে গুরুতর জখম বিজেপি বিধায়ক।
মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সাথে দেখা করার পরে রাজ্য সচিবালয় থেকে ফিরে আসার সময় বিজেপি বিধায়ক ভংজাগিন ভালতেকে মারধর করা হয়। বিধায়ক গুরুতর অবস্থায় ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (RIMS) চিকিৎসাধীন। ফারজাওল জেলার থানলনের তিন মেয়াদের বিধায়ক ভালতে। তিনি কুকি উপজাতিভুক্ত। তিনি এর আগে মণিপুরের উপজাতি বিষয়ক ও পার্বত্য মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
মণিুপুরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে উপজাতিদের সরানোর ছক করেছে এন বীরেন সিংয়ের সরকার। রাজ্যের ৩৬টি উপজাতি গোষ্ঠির সংগঠন বিক্ষোভ শুরু করে। আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নেয়। রাজ্যের চূড়াচাঁদপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই হামলা থেকে পুরো মণিপুর জুড়ে ছড়িয়েছে অশান্তির আগুন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৫৫ ধারা জারি করে মণিপুরে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে। রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইম্ফল, থেকে চূড়াচাঁদপুর সড়কটি পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে।