Manipur Violence: বছর শেষে রক্তাক্ত বিজেপি শাসিত মণিপুর, গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক-পুলিশ কর্মী,

বছর শেষ হয়ে আসছে। মণিপুরে জাতি সংঘর্ষ (Manipur violence) চলছেই। বড়দিনের উৎসব আবহেও রক্তাক্ত সীমান্তবর্তী এই রাজ্য। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালের পরিস্থিতি আতঙ্কজনক। একাধিক গুলিবিদ্ধ।…

Manipur violence continues

বছর শেষ হয়ে আসছে। মণিপুরে জাতি সংঘর্ষ (Manipur violence) চলছেই। বড়দিনের উৎসব আবহেও রক্তাক্ত সীমান্তবর্তী এই রাজ্য। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালের পরিস্থিতি আতঙ্কজনক। একাধিক গুলিবিদ্ধ। জখম তালিকায় আছেন এক টিভি সাংবাদিক ও পুলিশকর্মী। উল্লেখ্য গত দুদিন ধরে বিজেপি শাসিত এ রাজ্যে তীব্র গুলির লড়াই চলেছে। (Manipur violence continues)

মণিপুরে শত শত নিহত Manipur violence continues

বিবিসি জানিয়েছে,গত দু বছর ধরে জাতি সংঘর্ষে মণিপুরে শত শত নিহত। হাজারে হাজারে ঘরছাড়া। রাজ্যের দুই প্রধান জনগোষ্ঠী মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষের রেশ ধরে মণিপুর মৃত্যুমিছিল চলেছে।

   

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন মণিপুর শান্ত হয়ে যাবে। রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের কটাক্ষ, শান্তি আসবে দাবি করলেও মণিপুরে কেন আসছেন না মোদী। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ রাজ্যে। এমনকী তার দল প্রদেশ বিজেপির অভ্যন্তরেই বীরেন সিংকে পদচ্যুত করার দাবি এতটাই প্রবল যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়করা পৃথক জোট করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

ইম্ফল পূর্বের উপত্যকা অঞ্চলে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ Manipur violence continues

NE Live জানাচ্ছে, ক্রিসমাস উদযাপনের মধ্যে, ইম্ফল পূর্বের উপত্যকা অঞ্চলে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ হয়। বিশ্বের বাকি অংশ যখন ক্রিসমাস উদযাপন করছে, শান্তি ও স্বাভাবিকতার জন্য প্রার্থনা করছে, তখন ইম্ফল পূর্ব এবং কাংপোকপি জেলার মণিপুর পেরিফেরাল এলাকায় শনিবার সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সকাল থেকে, ইম্ফল পূর্বের সিনাম কোম গ্রাম কাংপোকপি থেকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে পড়ে। নৈসর্গিক সুন্দর এলাকা কাংপোকপি পাহাড় এখন যুদ্ধক্ষেত্র। পাহাড় ছোড়া বোমার বিকট এবং বিরক্তিকর শব্দে এলাকাবাসীর ঘুম ভেঙেছে।

পাহাড়ের চূড়া থেকে পর পর আক্রমণ Manipur violence continues

NE Today জানিয়েছে, সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা কাংপোকপি জেলার পাহাড়ের চূড়া থেকে একের পর এক আক্রমণ শুরু করে। ইম্ফল পূর্ব জেলার সানসাবি এবং থামনাপোকপি সহ বেশ কয়েকটি এলাকাকে লক্ষ্য করে চলছে আক্রমণ। এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন আহত হয়েছেন।

গুলিতে জখম পুলিশ কর্মী, কে. হরিদাশ (৩৭)। তার বাম কাঁধে গুলি লেগেছে। তাকে জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ চলছে। সংঘর্ষের সময় গ্রামের এক স্বেচ্ছাসেবকও হাতে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মণিপুরের এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ। তিনি স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলের হয়ে পাহাড় থেকে হামলার ছবি তুলছিলেন। সেই সময় তিনি গুলি লেগে পড়ে যান। এ দৃশ্য ভাইরাল।

মণিপুরী বাংলাভাষীদের করুণ হাল Manipur violence continues

সম্প্রতি রাজ্যের বাংলাভাষী অধ্যুষিত এলাকা জিরিবাম জেলায় একাধিক জঙ্গিকে গুলি করে খতমের দাবি করেছিল মণিপুর সরকার। নিহতরা সাধারণ গ্রামরক্ষী বলে কুকি জাতির সংগঠনের অভিযোগ, তাদের জঙ্গি সাজিয়ে ভুয়ো সংঘর্ষে খুন করা হয়। একই জেলায় একটি মেইতেই গোষ্ঠীর পরিবারের নারী ও শিশুদের অপহরণ করে খুনে অভিযুক্ত কুকিরা। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মণিপুরের বাংলাভাষীদের অনেকে পড়শি রাজ্য অসমের কাছাড় জেলার শিলচরের দিকে আশ্রয় শিবিরে চলে গেছেন। অসমের কাছাড় জেলা বাংলাভাষী অঞ্চল।

অভিযোগ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী মেইতেই গোষ্ঠীর। তিনি বারবার কুকি গোষ্ঠীকে নিশানা করে জাতি সংঘর্ষ থামাতে নারাজ। মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং ইম্ফল পূর্বের সানসাবি এবং থামনাপোকপিত গুলিবর্ষণের নিন্দা করেছেন। তিনি এটিকে “কাপুরুষোচিত” কাজ বলে অভিহিত করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশকে এমন পরিস্থিতিতে যথাযথ সমন্বয়ের সাথে কাজ করতে বলেছেন।

চ্যালেঞ্জের মুখে শান্ত ও ঐক্যের আহ্বান Manipur violence continues

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ইম্ফল পূর্বের সানসাবি এবং থামনাপোকপিতে কুকি জঙ্গিদের নির্বিচারে গুলি চালানোর তীব্র নিন্দা জানাই, যা বেসামরিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের আহত করেছে৷ নিরীহ মানুষের উপর এই কাপুরুষোচিত এবং অপ্রীতিকর আক্রমণ শান্তি ও সম্প্রীতির উপর আক্রমণ৷ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ছুটে পাঠানো হয়েছে। আহতরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছেন, এবং সরকার এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে শান্ত ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে। এই ধরনের মোকাবিলা করার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের যথাযথ সমন্বয় ও বোঝাপড়া থাকা উচিত।”

Bharat: Manipur violence continues amid Christmas celebrations. On December 28, intense gunfire in Imphal East leaves several injured, including a TV journalist and a police officer. The conflict between Meitei and Kuki communities has led to hundreds of deaths.