Manipur Violence: পরপর মণিপুরী মহিলাদের মৃতদেহ পড়ে আছে। দেহ দেখে প্রাথমিক সন্দেহ তাদের খুন করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ মনে করছে সম্প্পতি জঙ্গিরা তিন মহিলা ও তিন শিশুকে অপহরণ করেছিল। তাদেরই খুন করা হয়েছে।বিজেপি শাসিত মণিপুরে ‘সুশাসন’ বিতর্ক প্রবল। তীব্র আতঙ্কে আছেন মণিপুরের বাংলাভাষী অধ্যুষিত এলাকা জিরিবাম (Jiribam) জেলার বাসিন্দারা। এই জেলা থেকেই মহিলা ও শিশুসহ মোট ৬জনকে অপহরণ করা হয়।
মণিপুর পুলিশ জানায় গত 11 নভেম্বর, একদল জঙ্গি বোরোবেকরা এলাকায় একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়। আক্রমণটি ব্যর্থ হয়। 11 জন জঙ্গি নিহত হয়। পালানোর সময় জঙ্গিরা থানার কাছে একটি ত্রাণ শিবির থেকে তিনজন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপহৃতরা সবাই মেইতেই সম্প্রদায়ের। হামলাকারীরা ছিল কুকি জঙ্গি। তবে কুকি সংগঠনগুলির দাবি, পুলিশ ঠান্ডা মাথায় 11 জনকে খুন করেছে।
গত 11 নভেম্বরের পর থেকে নিখোঁজ মহিলা ও শিশুদের সন্ধান চলছে। শনিবার (16 নভেম্বর) তিন মহিলার মৃতদেহ মিলেছে জিরিবাম জেলায়। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, অসম-মণিপুর সীমানা তিন মহিলার দেহ পাওয়া গেছে। তারা সম্প্রতি অপহৃত হয়েছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। জিরিবাম জেলা থেকে সশস্ত্র জঙ্গিদের দ্বারা অপহৃত ছয়জনের সাথে নিহতদের সম্ভাব্য সংযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মণিপুর পুলিশ।
জিরিবাম জেলাটি অসমের (Assam) লাগোয়া। জিরি ও বরাক নদীর ওপারে অসমের বাংলাভাষী অধ্যুষিত এলাকা (Cachar) কাছাড় জেলা। সেখানেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মণিপুরের দিক থেকে বহু বাংলাভাষী অসমের কাছাড় জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিজেপি শাসিত মণিপুরে জাতি সংঘর্ষ চলছেই। শতশত নিহত।
মহিলাদের মৃতদেহগুলি অসম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কানাডা জেলার সদর শিলচরের (Silchar) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তথ্যে মৃতরা অপহৃত মহিলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাছাড়ের পুলিশ সুপার নুমাল মাহাট্টা জানান পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলেই আমরা নিশ্চিত করতে পারব। আসাম রাইফেলসের একজন মুখপাত্র বলেন “তদন্ত এবং শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে বিশদ বিবরণ পাওয়া যাবে”।