অশান্ত মণিপুরে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা, মোতায়েন সামরিক হেলিকপ্টার

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ যেন থামারই নাম নিচ্ছে না মণিপুরে (Manipur Violence)। মাঝে কিছুটা সময় শান্ত থাকার পর ফের একবার নতুন করে হিংসার ঘটনার সাক্ষী থাকল মণিপুর।…

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ যেন থামারই নাম নিচ্ছে না মণিপুরে (Manipur Violence)। মাঝে কিছুটা সময় শান্ত থাকার পর ফের একবার নতুন করে হিংসার ঘটনার সাক্ষী থাকল মণিপুর। গতকাল জিরিবাম জেলায় সহিংসতায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে ঘুমন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, ইম্ফল পূর্ব জেলায় মণিপুর রাইফেলসের দুটি ব্যাটালিয়নের অস্ত্রাগার থেকে কিছু দুষ্কৃতী অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কিছু দুষ্কৃতী সপ্তম ও দ্বিতীয় মণিপুর রাইফেলস ব্যাটালিয়ন থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী সফলভাবে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে বলে এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

   

এদিকে খাবেইসোইতে মোতায়েন থাকা সপ্তম ব্যাটালিয়ন থেকে ফেরার সময় কিছু দুষ্ক্রীতি তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যে কারণে দুই পুলিশ কর্তা গুরুতর আহত হন বলে খবর। যদিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ আরও একবার সকলকে অনুরোধ করছে, ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। এই ধরনের দুঃসাহসিক কাজে লিপ্ত দুষ্কৃতীদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে এবং গুরুতর আইনি পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’

অন্যদিকে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালাতে একটি সামরিক হেলিকপ্টারকেও মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর। জঙ্গি ড্রোনগুলিকে গুলি করে নামানোর জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে। গত বছরের মে মাসে মণিপুরে জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর উন্মত্ত জনতা মণিপুর পুলিশের অস্ত্রাগার এবং জেলাগুলির অন্যান্য সুরক্ষা চৌকি থেকে ৪০০০ এরও বেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং লক্ষ লক্ষ গোলাবারুদ লুট করে। পরে নিরাপত্তা বাহিনী বিপুল পরিমাণ লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।