রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ। জ্বলছে ঘর বাড়ি। পুলিশ ঢুকতে পারছে না। (Manipur Unrest) মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে ঠিক যেন পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামেের মত পরিস্থিতি (churachandpur violence)। আপাতত মণিপুর প্রশাসনের হাতের বাইরে চূড়াচাঁদপুর। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের (N Biren Singh) বিরুদ্ধে এ রাজ্যের আদিবাসী সংগঠনের ক্ষোভের আগুন আরও বাড়ল শনিবার।
স্থানীয় আদিবাসী খ্রিষ্টানদের ক্ষোভের কারণ, সম্প্রতি একাধিক চার্চ ভেঙে দিয়েছে বিজেপি পরিচালিত মণিপুর সরকার। চূড়াচাঁদপুর বিচ্ছিন্ন।
মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস জানিয়েছে রাজ্য ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হয়ে গেছে। বিজেপি সরকারের সংরক্ষিত বন বিক্রি করছে এই অভিযোগে সরব প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট চালায় পুলিশ।
শুক্রবার রাতে মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলায় নতুন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শনিবারও পরিস্থিতি গরম। পিটিআই জানিয়েছে নিউ লামকা, তুইবং বাজার, সিলমাট ব্রিজ, লানভা ব্রিজ এবং টি চামফাইয়ের মতো এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীদের পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মীদের টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন যে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালাচ্ছে। কংগ্রেসের অভিযোগ,যদিও পুরো বিজেপি দল মোদী কর্ণাটক নিয়ে ব্যাস্ত। মণিপুরে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার এক বছর পরে এ রাজ্যের চূড়াচাঁদপুরপ্রায় একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে কর্তৃপক্ষ চুরাচাঁদপুর এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলা ফেরজাওলে পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট স্থগিত করেছে।