মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ‘আরম্বাই তেঙ্গোল’ সংগঠনের সদস্যরা রাজ্য সরকারের কাছে তাদের অস্ত্রসমর্পণ করেছেন। রাজ্যপাল, জেলা পুলিশ, অসম রাইফেলস এবং সিআরপিএফের যৌথ প্রচেষ্টায় এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার, চুরাচাঁদপুর, ইম্ফাল পূর্ব, বিশনুপুর, থৌবল, কাংপোকপি, জিরিবাম এবং ইম্ফাল পশ্চিম জেলা থেকে মোট ৮৭টি অস্ত্র জমা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনী পাহাড়ি ও উপত্যকা এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। তেঙ্গনৌপাল জেলার এইচ. মঞ্জাং গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী একটি পাম্পি (১০ ফুট দৈর্ঘ্য, সম্ভবত ৮৪ মিমি), আরেকটি পাম্পি (সম্ভাব্য ৫১ মিমি ইম্প্রুভাইজড মর্টার), তিনটি পাম্পি বোমা এবং তিনটি আইইডি (প্রায় ৫.৫ কেজি) উদ্ধার করেছে। এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরক ধ্বংস করা হয়েছে বলে খবর।
ARAMBAI TENGGOL Members Handover Arms Following Governor’s Call-
Responding to Governor Ajay Kumar Bhalla’s @BhallaAjay26 to surrender illegal arms, members of ARAMBAI TENGGOL on Thursday laid down their weapons at the 1st Battalion MANIPUR RIFLES in IMPHAL. The… pic.twitter.com/jfCLD6DXqa
— BeeThangjam (@beethangjam) February 27, 2025
মণিপুরের জনগণ রাজ্যপালের আবেদন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সচেতনতামূলক প্রচারণায় সাড়া দিয়ে অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছে। এই উদ্যোগে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ভারতীয় সেনার মিলিটারি অপারেশন বিভাগের (DGMO) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই সোমবার ও মঙ্গলবার মণিপুর সফর করেন। তিনি রাজ্যপাল ভল্লা, মণিপুরের সুরক্ষা উপদেষ্টা, মুখ্য সচিব এবং পুলিশ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ডিজিএমও সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ভারত-মায়ানমার সীমান্তে চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নগুলোর অবস্থান পর্যালোচনা করেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই রাজ্যভিত্তিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সীমান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ভারতীয় সেনার প্রস্তুতির উপর গুরুত্ব আরোপ করে মণিপুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে মণিপুরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। জনগণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে মণিপুর আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন, এই প্রচেষ্টা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হবে।