মণিপুরে চিরুনি তল্লাশি! অভিযানে উদ্ধার ২০৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও একাধিক বিস্ফোরক

ইম্ফল: মণিপুরের পাহাড়ি জেলাগুলিতে রাতভর যৌথ অভিযান চালিয়ে বিশাল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী। ৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে ৪ জুলাই সকাল…

Manipur Arms Recovery

ইম্ফল: মণিপুরের পাহাড়ি জেলাগুলিতে রাতভর যৌথ অভিযান চালিয়ে বিশাল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী। ৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে ৪ জুলাই সকাল পর্যন্ত তেংনৌপাল, কাংপোকপি, চান্ডেল এবং চুরাচাঁদপুর জেলার ঘন বনাঞ্চলে এই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

মণিপুর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, এই সমন্বিত অভিযান চালায় মণিপুর পুলিশ, ভারতীয় সেনা, আসাম রাইফেলস এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPFs)। নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে যুদ্ধপর্যায়ের অস্ত্র ও বিস্ফোরকের বিশাল ভাণ্ডার।

   

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২১টি INSAS রাইফেল, ১১টি AK সিরিজ রাইফেল, ২৬টি SLR, ২টি স্নাইপার রাইফেল, ৩টি কার্বাইন, ১৭টি .৩০৩ রাইফেল, ২টি মর্টার, ৩টি M79 গ্রেনেড লঞ্চার ও ৩১টি সিঙ্গেল-বোর গান। এছাড়াও পাওয়া গেছে ৩৮টি পাম্প অ্যাকশন গান, ৪টি মুজল-লোডেড রাইফেল এবং বেশ কিছু দেশীয় বন্দুক ও পিস্তল।

এছাড়া মজুত ছিল বিপজ্জনক বিস্ফোরকও ২৯ রাউন্ড ৫.৫৬ মিমি গুলি, ৮০ রাউন্ড ৭.৬২ মিমি গুলি, ৩০টি আইইডি, ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৯টি পম্পি শেল এবং ২টি ল্যাথোড গ্রেনেড।

গোপন আস্তানায় মজুত Manipur Arms Recovery

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অস্ত্রভাণ্ডার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোপন আস্তানায় মজুত ছিল, যা রাজ্যে ফের অস্থিরতা ছড়াতে ব্যবহার করা হত। এই অভিযানের ফলে ওই গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্ষমতায় বড় ধাক্কা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয় এবং উন্নত গোয়েন্দা তৎপরতার ফলেই এত বড় সফলতা সম্ভব হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এমন অভিযান চলবে নিয়মিত, বিশেষ করে বর্তমান জাতিগত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে।

পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, আশপাশে কোনও সন্দেহজনক কিছু নজরে পড়লে দ্রুত স্থানীয় থানায় অথবা কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য।

মণিপুর পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, তারা শান্তি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মানুষের মধ্যে বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে।