বিহার পুলিশ শনিবার দিল্লি থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি লোকসভা সদস্য পাপ্পু যাদবকে (Bihar MP Pappu Yadav) মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মহেশ পাণ্ডে এবং পুলিশ জানিয়েছে, তিনি কোনো গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত নন এবং অপরাধ স্বীকার করেছেন।
অক্টোবর ২৮ তারিখে, পাপ্পু যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে, তাকে ফোনে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যা gangster লরেন্স বিষ্ণোইয়ের প্রতি তার হুমকির প্রেক্ষিতে ঘটেছিল। বর্তমানে বিষ্ণোই গুজরাটের একটি জেলে বন্দি আছেন।
পুলিশের পুরুণিয়া জেলার সুপারিনটেনডেন্ট কার্তিকেয় শর্মা জানান, মহেশ পাণ্ডে আগে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করতেন। “যখন সে জানতে পারে যে পাপ্পু যাদব গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, তখন সে পরিকল্পনা করে পাপ্পু যাদবকে একটি মৃত্যুর হুমকি দিতে,” শর্মা বলেন।
গ্রেপ্তারের সময়, পুলিশ মহেশ পাণ্ডের কাছ থেকে সেই মোবাইল ফোন এবং সিম কার্ডটি উদ্ধার করেছে, যা allegedly পাপ্পু যাদবকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, পাপ্পু যাদবকে দেওয়া মৃত্যুর হুমকির পেছনের কারণ তদন্তাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং পাণ্ডের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ পাপ্পু যাদব বিহারে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য একটি গুরুতর বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিহারের এই ঘটনার পর রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাজনৈতিক নেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন প্রভাবশালী গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কথা বলেন বা তাদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তাদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।
এদিকে, পাপ্পু যাদব এই ঘটনার পর সাংবাদিকদের জানান, তিনি কোন ভয় পাচ্ছেন না এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে তার সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিচ্ছে, সে জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রাখি এবং বিশ্বাস করি তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
পুলিশ ইতিমধ্যেই মহেশ পাণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে এবং তাকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছে। রাজনৈতিক হুমকি ও সহিংসতা মোকাবিলার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।