অমিত শাহের নাম করে বৈঠকে মোদিকে বার্তা মমতার

Mamata Banerjee Sends Message to Modi While Naming Amit Shah in Clerics’ Meet Advertisements মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (mamata banerjee) আজকের বৈঠকে ওয়াকফ আইন ঘিরে রাজ্যে…

mamata slams congress

Mamata Banerjee Sends Message to Modi While Naming Amit Shah in Clerics’ Meet

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (mamata banerjee) আজকের বৈঠকে ওয়াকফ আইন ঘিরে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া হিংসার ঘটনাকে “পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিএসএফ। তাদের সহায়তায় বাংলাদেশের “দুষ্কৃতীদের” রাজ্যে প্রবেশ করিয়ে অস্থিরতা ছড়ানোর চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।

   

পথে নেমে সরকারের সমালোচনায় গর্গ চট্টোপাধ্যায়

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (mamata banerjee) বলেন

কলকাতায় একদল মুসলিম ধর্মগুরুর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (mamata banerjee) বলেন, “আমরা ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সামনের সারিতে রয়েছি। কিন্তু এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হতে হবে। অশান্তি ছড়িয়ে আমাদের আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

মমতা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানান, তিনি যেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাঁর কথায়, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। দয়া করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণে আনুন। উনি সব কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আজ তিনি (মোদী) আছেন, কিন্তু কাল তো আর থাকবেন না। তখন কী হবে?”

রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একাধিক স্থানে ওয়াকফ আইন বিরোধী বিক্ষোভের নামে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এই হিংসায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক বাবা ও ছেলে, যাঁদের সামশেরগঞ্জে একদল দুষ্কৃতী কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ।

দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে রাজস্থান শিবিরে বড় রদবদল

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করেই বিশাল জনতা বিক্ষোভে নামে, এবং সেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দ্রুত হিংসাত্মক রূপ নেয়। দোকানপাট ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন দেওয়া, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া—এসব ঘটনার জেরে এলাকায় চরম আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। বহু মানুষ আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে পুলিশ কর্মীও রয়েছেন।

Advertisements

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এই হিংসায় বাংলাদেশের কিছু দুষ্কৃতীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পাঠানো এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ এই দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢুকতে সাহায্য করেছে। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।”

তিনি (mamata banerjee) আরও বলেন, “সীমান্তে মানুষের উপর বিএসএফ-এর অত্যাচার নতুন নয়। কিন্তু এবার তারা যেভাবে আমাদের রাজ্যে অরাজকতা তৈরিতে ভূমিকা নিয়েছে, তা খুবই বিপজ্জনক ও দুঃখজনক।”

রাজ্য সরকার এই হিংসা দমনে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে

এদিকে, রাজ্য সরকার এই হিংসা দমনে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে টানা বৈঠক চলছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দোষীদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। “আমরা জানি কে কোথা থেকে আসছে, কারা এর সঙ্গে জড়িত। আইন নিজের পথে চলবে,” বলেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের কাছে শান্ত থাকার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা আন্দোলন করব, কিন্তু সেটি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পথে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের পটভূমিতে এই ঘটনাগুলি আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কেন্দ্রের তরফে এখনও মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, রাজ্যের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে এই ধরণের হিংসাত্মক ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) বিস্ফোরক অভিযোগে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক আরও তীব্র হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।