বাংলার পর এবার মুম্বাইয়েও চুটিয়ে প্রচার মমতার! মারাঠা রাজনীতিতে তৃণমূলের এন্ট্রি?

এবার মারাঠা রাজনীতিতে দিদির (Mamata Banerjee) হুংকার? আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এন্ট্রি নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের মুখেই তৃণমূল সুপ্রিমো (Mamata Banerjee)…

এবার মারাঠা রাজনীতিতে দিদির (Mamata Banerjee) হুংকার? আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এন্ট্রি নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের মুখেই তৃণমূল সুপ্রিমো (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন সেই কথা। লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে রাজনীতিতে ‘দিদির দূত’ শব্দবন্ধকে প্রচারে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে স্বয়ং দিদি কার দূত হয়ে যাচ্ছেন? সেকথাও মমতা (Mamata Banerjee) নিজের মুখেই খোলসা করেছেন।

রাজনৈতিক বন্ধু এবং মহারাষ্ট্রের রাজনীতির অন্যতম চরিত্র উদ্ধব ঠাকরের বাসভবনে এদিন পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই উদ্ভব ঠাকরে এবং তার ছেলেকে পাশে বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মারাঠাভূমিতে আগামী রাজনৈতিক কর্মসূচির ইঙ্গিত দিলেন। পরিষ্কার বললেন মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরের হয়ে প্রচারে আসবেন তিনি। সেই সঙ্গে একাধিক বিষয়ে খোলাখুলি নিজের মনের কথাও বলে ফেললেন।

   

মহারাষ্ট্রের সঙ্গে তার পু্রোনো যোগাযোগের কথা বলতে গিয়ে মমতা, শরদ পাওয়ার, সজ্জন জিন্দাল থেকে শুরু করে মুকেশ আম্বানির কথাও বলেন। এমনকী পশ্চিমবঙ্গে জিন্দালদের দুটি পাওয়ার প্রজেক্টে বিপুল বিনিয়োগের কথাও তিনি এই দিন সাংবাদিকদের সামনে আবারও মনে করিয়ে দেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্যই মমতার মুম্বাইয়ে আগমন ঘটেছে। বঙ্গের বাণিজ্য সম্মেলনে আম্বানির যোগদানের কথাও এদিন মনে করিয়ে দেন মমতা।

কুরুক্ষেত্রের অর্জুন হলেন ব্রিটিশ সাংসদ? গীতা হাতে কৃষ্ণ স্মরণে শপথ খ্রিস্টান ব্ল্যাকম্যানের!

যেখানে উদ্ভবের প্রচারে আসার ঘোষণা করলেন মমতা, সেখানে কংগ্রেস নিয়ে প্রশ্নে রীতিমতো ধরি মাছ, না ছুই পানির স্ট্র্যাটেজি নিয়েছেন মমতা। কংগ্রেস সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কার্যত এড়িয়ে যান গোটা বিষয়টি। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনেও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, শরদ পাওয়ার এবং উদ্ভব ঠাকরের দল মহাজোট বেঁধে লড়েছিল। এবং তাতে তারা যথেষ্ট সাফল্যই পেয়েছে।

কিন্তু বিধানসভা আসতেই মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস শিবিরে যেন একটু উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে। এর আগেই মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি রীতিমতন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিধানসভার ব্যপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য ছিল গোটা মহারাষ্ট্রে এককভাবে তাঁদের দল প্রার্থী দেবার জন্য প্রস্তুত। যা সরাসরি অপর দুই জোট সঙ্গীকে প্রচ্ছন্ন হুমকি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আর এবার খোদ উদ্ভবের হয়ে প্রচারে আসার ঘোষণা করে দিয়ে রাজনীতির সেই খেলাকে আরও জমিয়ে দিলেন মমতা। নিজের দলের নাম এবং প্রতীক হারিয়েও উদ্ভবের এই লড়াইয়ে তিনি যে ভীষণ গর্বিত তা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন অংশে এবং গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে প্রচুর বাঙালি রয়েছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাঙালি ভোট নির্ণায়ক হবার ক্ষমতাও রাখে।

সিনিয়র সিটিজেনদের ছাড় ফিরছে? নির্মলার রেল-বাজেটে থাকতে পারে বিরাট চমক

এবার উদ্ভবের হয়ে মমতার ব্যাটিং শুরু করলে বাঙালি ভোটে কি বড়সড় প্রভাব পড়বে? বাঙালি ভোট যদি শিবসেনার পক্ষে আসে তাহলে সেটা যে তাদের একটা বড়সড় রাজনৈতিক ডিভিডেন্ট হবে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এখন দেখার বিষয় দিদি বাংলা ছেড়ে মারাঠাভূমিতে কতটা সময় দেন। আর মুম্বাইয়ের বাঙালিরাও দিদির কথাকে কতটা মেনে নেন।