কলকাতা: ১৬ দিন ব্যাপী প্রায় ১৩০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ যাত্রার সমাপ্তির দিন ঘোষণার পরেও রাহলের ভোটার অধিকার যাত্রায় (Voter Adhikar Yatra) যোগ দেওয়ার বিষয়ে মৌন ছিলেন মমতা-অভিষেক। ইউসুফ পাঠান, ললিতেশ তিওয়ারিদের পাঠিয়ে কি কার্যত দায় খালাস করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? সোমবার বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রার শেষদিনে উঠছে প্রশ্ন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবে সংসদীয় বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা রাখলেও স্বাধীনভাবে দলের সিদ্ধান্ত এবং কার্য-পরিচালনাতেই বেশি বিশ্বাসী রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। জোটপক্ষ হিসেবে রাহুলের (Rahul Gandhi) যাত্রায় স্ব-শরীরে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিনিধি পাঠিয়ে ‘রাজনৈতিক দায়িত্ব’ সেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিহারের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) বিরুদ্ধে রাহুলের ভোটার আধিকার যাত্রার প্রতি দলের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন ‘প্রতিনিধি’ ইউসুফ এবং ললিতেশ। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট! তাঁর আগে চতুর্থবার বঙ্গে ঘাসফুল ফোটানোর প্রস্তুতিতেই ‘সম্পূর্ণ’ মনোযোগ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে ঘাড়ের কাছে পদ্মকাঁটা-খোঁচার আবহে আসন্ন ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন নেত্রীর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কারও সাহায্যে নয়, বরং নিজের দমেই নির্বাচন লড়তে চান বলে আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি, সিপিআইএম এর পাশাপাশি কংগ্রেসকেও (Congress) ‘বিরোধী’ হিসেবেই দেখে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মত একাংশের। ঐতিহাসিক ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কংগ্রেস-তৃণমূলের সম্পর্ক ওঠানামা করেছে।
যদিও মহাজোটের সদস্য হওয়ার পর একে অপরের প্রতি সামান্য হলেও ‘হৃদ্যতা’ বেড়েছে দুই দলের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্ব-শরীরে রাহুলের যাত্রায় উপস্থিত হলে তা রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে তৃণমূলের জন্য বেশ সমস্যার হত। বিশেষ করে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত তাঁদের বিশ্বস্ত ভোটব্যাংক। তাই প্রতিনিধি পাঠিয়ে ‘দুই-দিকই’ বজায় রাখল তৃণমূল।