ভারতের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে গতবছর থেকেই নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেছে মালদ্বীপ। মূলত চিনের উস্কানিতেই ভারতের বিরুদ্ধে তু তু ম্যায় ম্যায় শুরুন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জু। কিন্তু বছর ঘুরতেই টনক নড়েছে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির। একদিকে ভারত মালদ্বীপ বয়কট শুরু করায় মালদ্বীপের ভাড়ের মা ভবানী হয়ে গিয়েছে। তাই ভারতীয় পর্যটক টানতে এবার ভারতেই ওয়েলকাম ইন্ডিয়া প্রচার শুরু করেছে মালদ্বীপের প্রশাসন। তারমধ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে মালদ্বীপের জন্য বরাদ্দ গতবারের চেয়ে অনেকটাই কাটছাঁট করেছে নয়াদিল্লি।
হু হু করে নাগরিকত্ব ছাড়ছে ভারতীয়রা, চিন্তায় কেন্দ্র
জানা গিয়েছে, ২০২২-’২৩ এবং ২০২৩-’২৪-এর বাজেটে মলদ্বীপের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল ভারত। ২০২৩-’২৪ সালে মলদ্বীপের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৭৭০ কোটি। তবে ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে দেখা যায় গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ কমিয়ে ৪০০ কোটি করা হয়েছে। যার জেরেই কিছুটা বেকায়দায় পড়তে হয়েছে মইজ্জুকে। উল্লেখ্য, ভারতের বাজেটে তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলির জন্যও বাজেট বরাদ্দ হয়ে থাকে।
BJP: শুধুই নারী ধর্ষণ নয়, আরও কি কি করতেন? বিস্ফোরক অভিযোগ অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে!
কূটনৈতিক মহলের মতে, দেশের স্বার্থেই প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ইতিমধ্যেই সুর নরম করেছেন। এমনকি সম্প্রতি সে দেশের স্বাধীনতা দিবসে জনসমক্ষে ভারতকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, মলদ্বীপের আকাশে আবার উড়তে শুরু করেছে ভারতের পাঠানো ডর্নিয়ার বিমান এবং হেলিকপ্টার। ডর্নিয়ার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে ইতিমধ্যেই রোগীদের শুশ্রূষা এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজ আবার শুরু হয়েছে।
রাজ্যের টাকা সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে না, বোসের মন্তব্যে ফের সংঘাতে নবান্ন-রাজভবন
লোকসভা ভোটে জয়ের জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানান মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি উড়ে এসেছিলেন মুইজ্জু। রাষ্ট্রপতি ভবনে অতিথি ছিলেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, দু’দেশের সম্পর্ক উন্নতির বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
ভয়ঙ্কর কাণ্ড! নীতীশ কুমারের অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আল কায়দার, তদন্তে পুলিশ
অন্যদিকে, চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের দহরম-মহরম শুরুর পর সে দিকে নজর পড়ে সারা বিশ্বের। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) সাবধান করে, চিনের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তে পারে মলদ্বীপ। কারণ চিনের থেকে দু’হাতে ঋণ নিলেও তা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা নেই মলদ্বীপের। এতেও নাকি টনক নড়ে মুইজ্জু সরকারের। তারপরেই মালদ্বীপের এই ভারত প্রীতি দেখা দিয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।