Mahakumbh 2025: ‘মহাকুম্ভে ৩ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা পার’, অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত

প্রয়াগরাজে (Prayagraj) অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ (Mahakubh) মেলার মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা (৩৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যবসা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে। কনফেডারেশন অফ অল…

makhumbh-3-lakh-crore-business-economic-revolution

প্রয়াগরাজে (Prayagraj) অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ (Mahakubh) মেলার মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা (৩৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যবসা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) -এর মহাসচিব এবং চাঁদনী চকের সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল সমীক্ষা চালিয়ে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। শুধু তাই নয়, এটিকে ভারতের বৃহত্তম অর্থনৈতিক ইভেন্ট বলেও তকমা দেওয়া হয়েছে।

১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান এই মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh 2025) লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটেছে। এর ফলে স্থানীয় ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যাপক গতি ফিরে এসেছে। খান্ডেলওয়াল জানান, প্রাথমিকভাবে ৪০ কোটি মানুষের আগমন এবং ২ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে ৬০ কোটি মানুষের উপস্থিতি এবং ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসায়িক লেনদেনের আশা করা হচ্ছে।

   

মহাকুম্ভের এই বিশাল মানবসমাগম অর্থনীতির একটি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রয়াগরাজ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের অর্থনীতি এই উৎসবের মাধ্যমে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। স্থানীয় বাণিজ্য যেমন, ডায়েরি, ক্যালেন্ডার, পাটের ব্যাগ, স্টেশনারি ইত্যাদির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এছাড়াও, সতর্কতামূলক ব্র্যান্ডিংয়ের কারণে এসব পণ্যের বিক্রিও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

খান্ডেলওয়াল আরও উল্লেখ করেন, মহাকুম্ভের প্রভাব শুধু প্রয়াগরাজেই সীমাবদ্ধ নেই। এর ১৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থিত শহরগুলোতেও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এছাড়াও, অযোধ্যা, বারাণসী এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলোতেও তীর্থযাত্রীদের আগমন আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রয়াগরাজের পরিকাঠামো উন্নয়নে ৭৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যার মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা শুধুমাত্র মহাকুম্ভের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই বিনিয়োগ শহরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মহাকুম্ভের এই অর্থনৈতিক প্রভাব ভারতের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বৃহত্তম মানবসমাগমের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মহাকুম্ভের এই সাফল্য শুধু অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটি বিশ্বকে দেখিয়েছে যে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন একসাথে কীভাবে একটি দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।