কর্ণাটক (Karnataka) বিধানসভা ২০২৫ সালের ভূমি সংস্কার এবং কিছু নির্দিষ্ট অন্যান্য আইন (সংশোধন) বিল পাস করেছে, যা নতুন শিল্প স্থাপনের প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি কৃষি জমির অকৃষি ব্যবহারের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনছে।
দুই একর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়াই রূপান্তর
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কৃষি জমিকে অকৃষি ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হয়। তবে সংশোধনের ফলে উদ্যোক্তারা দুই একর পর্যন্ত কৃষি জমি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়াই শিল্প (বিশেষ করে MSME) স্থাপনের জন্য রূপান্তর করতে পারবেন। রাজস্বমন্ত্রী কৃষ্ণ বাইরে গৌড়া জানান, এতে প্রশাসনিক জটিলতা কমবে এবং মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজনীয়তা দূর হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে ছাড়
বিলে সৌর, বায়ু ইত্যাদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প স্থাপনের জন্য কৃষি জমি রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত ফি প্রদান করলে সরাসরি প্রকল্প শুরু করা যাবে, যা পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদনে গতি আনবে।
শাস্তির ধারা পরিবর্তন
পূর্ব অনুমতি ছাড়া কৃষি জমি অকৃষি কাজে বিক্রি করলে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান বর্তমানে আছে। সংশোধনের মাধ্যমে এই কারাদণ্ডের ধারা বাতিল করে জরিমানা ১০,০০০ থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ করা হয়েছে। তবে বিশেষ পরিকল্পনার অধীনে সরকার অনুমোদিত ক্ষেত্রে জরিমানা প্রযোজ্য হবে না।
ডিজিটাল সম্পত্তি নিবন্ধন
নিবন্ধন (কর্ণাটক সংশোধন) বিল, ২০২৫ অনুযায়ী, সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় মানুষের হস্তক্ষেপ কমাতে এবং সাব-রেজিস্ট্রারের ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রয়োগে জোর দেওয়া হয়েছে। শহরাঞ্চলে অবৈধ নিবন্ধন রোধে সফ্টওয়্যার একীকরণ করা হবে। এছাড়া কিছু নথি শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই ই-রেজিস্ট্রেশন বা রিমোট রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এবং কেন্দ্রীভূত ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে প্রত্যয়িত কপি পাওয়া যাবে।
কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে পরিবর্তন
বনবাসী, বাসবকল্যাণ, কিত্তুর, নাদপ্রভু কেম্পেগৌড়া হেরিটেজ এরিয়া ও কাগিনেল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে রাজস্বমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত অন্য কোনও মন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করা যাবে।