পাটনা: বিহার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতেই জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুরের (Maithili Thakur) রাজনীতিতে পা রাখা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সবে বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Assembly Election) লড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মৈথিলী। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা বাকি। তবে ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে গুঞ্জন দেখে বেশ উৎসাহিত মৈথিলী। নিজ মুখেই সেই কথা স্বীকার করেছেন সঙ্গীতশিল্পী।
মৈথিলী ঠাকুর বিজেপির বিহার ইনচার্জ বিনোদ তাওড়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে শেয়ার করে নিজের মতামত ব্যক্ত করার পর থেকেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তিনি লেখেন, “বিহারের জন্য যারা বড় স্বপ্ন দেখেন তাদের সঙ্গে হওয়া প্রতিটি কথোপকথন আমার দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেবার মনোভাবের কথা মনে করিয়ে দেয়… আমি গভীরভাবে সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞ।” সমাজমাধ্যমের এই পোস্টে ইতিমধ্যেই উঠেছে কমেন্টের ঝড়।
অনেকেই মৈথিলীকে (Maithili Thakur) রাজনৈতিক জগতে পা রাখতে নিষেধ করছেন। তবে রাজনীতির প্রতি কি হঠাৎ করেই উৎসাহ প্রকাশ করেছেন মৈথিলী? তাঁর সমাজমাধ্যমের পোস্ট লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এর আগেও নবরাত্রিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মৈথিলীর একটি গান শেয়ার করেছিলেন। সেখানেই মোদীকে ধন্যবাদ বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার আগে নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা বার্তাও দিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী। তবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী রাজনীতির জগতে প্রবেশ করলে তাঁর সম্মান ক্ষুণ্ণ হবে বলেই মনে করছেন তাঁর ভক্তরা। অনেকেই স্মৃতি ইরানি এবং কঙ্গনা রানাওতের উদাহরণ তুলে ধরেছেন।
মৈথিলীর বাবার নিশানায় লালু প্রসাদ
প্রসঙ্গত, মৈথিলী ঠাকুরের বাবা রমেশ ঠাকুরের বয়ান নিয়েও তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। যেখানে বিহার ছেড়ে যাওয়ার জন্য লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) সরকারকেই দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, “বিহারে পলায়ন শুরুর প্রথম ধাপেই আমরা বিহার ছাড়ি। ১৯৯৫ সালে আমি বিহার ত্যাগ করি। গত ৩০ বছর ধরে আমি বিহারের বাইরেই পরিবার সহ বসবাস করছি”।
বিহারের যে পরিযায়ী ইস্যু নিয়ে পূর্বের লালু প্রসাদ যাদবের সরকারের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদী, নীতিশ কুমার তোপ দাগেন, সেই একই সুরে বয়ান দিয়েছেন মৈথিলীর (Maithili Thakur)বাবা রমেশ ঠাকুর। তিনি বলেন, “বিহারে লালু প্রসাদের দল ক্ষমতায় আসার আগে সব ঠিক ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই ব্রাহ্মণদের উপর হামলা, তাঁদের জমি দখল করে নেওয়ার মোট ঘটনা শুরু হয়। ওই সময় আমরা যুবক ছিলাম। বিহারে থাকা এতটাই সমস্যাজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে যে আমরা পলায়নে বাধ্য হই”।
মৈথিলী রাজনীতিতে এলে ফায়দা বিজেপির
মৈথিলী ঠাকুরের মোট বিহারের জনপ্রিয় শিল্পী বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলে মিথিলাঞ্চলে বিজেপির জয় সহজ হবে, এই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তবে মৈথিলী ঠাকুরের তাতে লাভ? বিহারের মগধ অঞ্চলের বাসিন্দা প্রবীণ সাংবাদিক অরবিন্দ শর্মা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “মৈথিলী ঠাকুর তো ছোট। তাঁর লোকগান বিহারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু এখন আশঙ্কা হচ্ছে, রাজনীতিকে পা রাখলে তাঁর সঙ্গীতের মৃত্যু হবে।”