অজিত-শরদ একসঙ্গে, আবার কি কাকা-ভাইপো পুনর্মিলন? জল্পনা মহারাষ্ট্রে

মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজনীতিতে আবার এক নতুন জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্রোহ এবং বিজয়ের পর, এখন কি ভাইপো অজিত পওয়ার (  কাকা শরদ পওয়ারের সঙ্গে সমঝোতার পথে…

Sarad Pawar and Ajit Pawar may come closer speculation rise in Maharashtra politics

মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজনীতিতে আবার এক নতুন জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্রোহ এবং বিজয়ের পর, এখন কি ভাইপো অজিত পওয়ার (  কাকা শরদ পওয়ারের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটবেন? এই প্রশ্নই এখন রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। অজিত পওয়ারের মা আশার মন্তব্যের পর এই আলোচনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বুধবার পন্দরপুরের বিঠ্‌ঠল মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন আশারী দেবী। পুজো শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, “ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাতে এসেছিলাম যাতে পওয়ার পরিবারের অন্দরে সমস্ত বিবাদ মিটে যায়। অজিত এবং শরদ আবার একজোট হয়।” 

নীতীশের জন্য দরজা খোলা, লালুর মন্তব্যে কী বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী?

   

আশারী দেবীর এই মন্তব্য মহারাষ্ট্রের রাজনীতির নয়া দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বহুদিন ধরে, পওয়ার পরিবারে অজিত এবং শরদ পওয়ারের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত ছিল, বিশেষ করে অজিতের বিদ্রোহের পর। ২০১৯ সালে, অজিত পওয়ার যখন মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির জোট সরকার থেকে বেরিয়ে বিজেপির সাথে জোট করেছিলেন, তখন পওয়ার পরিবারের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেই সময়, শরদ পওয়ারের সঙ্গে তার সম্পর্কে গভীর অবনতি ঘটে। তবে, তার পর থেকেই ধীরে ধীরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলাতে থাকে, এবং এখন আবার দুই নেতা একে অপরের কাছাকাছি আসছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

অজিত পওয়ারের মায়ের এই মন্তব্যের পর, শিবসেনা এবং এনসিপি দলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অজিত পওয়ারের ঘনিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল পটেল এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “শরদ পওয়ার আমাদের কাছে ঈশ্বরের মতো। দুই এনসিপি যদি মিশে যায়, তবে ভালই হবে।” এর মাধ্যমে প্রফুল পটেল স্পষ্ট করেছেন যে, এনসিপির মধ্যে একাত্মতা হলে তা দলের জন্য ইতিবাচক হবে।

বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা! তিন বাহিনীর সমন্বয়ে থিয়েটারাইজ়েশনের পদক্ষেপ সেনার

গত ১২ ডিসেম্বর, শরদ পওয়ারের জন্মদিন উপলক্ষে দিল্লিতে গিয়েছিলেন অজিত পওয়ার। সে সময় কাকা-ভাইপো একান্তে আলোচনা করেছিলেন এবং অনেকেই মনে করছেন, সেই আলোচনা থেকেই দুই নেতা একে অপরের কাছাকাছি আসতে পারেন। একাধিক সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকে পওয়ার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমিল মিটানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

এখন প্রশ্ন উঠছে, কি কারণে এই পরিবর্তন ঘটছে? এর পেছনে কি শুধুমাত্র পারিবারিক সম্পর্কের পুনর্গঠন, না কি রাজনৈতিক কৌশলও রয়েছে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই একযোগিতার সম্ভাবনা শুধুমাত্র পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এটি মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বর্তমানে, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিজেপি এবং শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে, যদি এনসিপি দুই শাখায় বিভক্ত না হয়ে একত্রিত হতে পারে, তবে তা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার করতে পারে।

৪৫০ কোটির দুর্নীতিতে নাম জড়াল শুভমনের, তলব সিআইডির

এদিকে, সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে, কারণ যদি দুই এনসিপি এক হয়ে যায়, তবে তা রাজ্যজুড়ে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক জোট গঠন করতে সাহায্য করবে। এছাড়া, পওয়ার পরিবারে এই সমঝোতা শুধু দলের জন্যই নয়, বরং রাজ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।