Maharashtra: বিজেপি করলে কোনও তদন্ত হয় না, বললেন গেরুয়া সাংসদ সঞ্জয় পাতিল

News Desk: বিরোধীরা হামেশাই অভিযোগ করেন, সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে তাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিজেদের…

Maharashtra leader Sanjay Patil

short-samachar

News Desk: বিরোধীরা হামেশাই অভিযোগ করেন, সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে তাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিজেদের প্রয়োজনে বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কাজে লাগাচ্ছে।

   

যদিও কেন্দ্র বিরোধীদের সেই অভিযোগ বারেবারে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের তোলা অভিযোগ যে এতটুকু ভিত্তিহীন নয় সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় পাতিল। রবিবার সঞ্জয় বলেন, এখন আমি বিজেপি সাংসদ। তাই সিবিআই বা ইডি কেউ আর আমার পিছনে আসবে না।

দিন কয়েক আগে হর্ষবর্ধন পাতিল নামে এক বিজেপি নেতাও একই কথা বলেছিলেন। হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন। কারণ এখন আর তাঁকে কোনও ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। যথারীতি বিজেপি সাংসদ ও এক নেতার এ ধরনের কথায় তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকার সর্বদাই সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিরোধীদের পিছনে লাগিয়ে রেখেছে। বিরোধীদের নানাভাবে হেনস্তা করাই যে মোদি সরকারের একমাত্র লক্ষ বারেবারে এমন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সেই অভিযোগের সাপেক্ষে তেমন কোনও জোরালো প্রমাণ মেলেনি। এবার সেই প্রমাণ বিরোধীদের হাতে তুলে দিলেন মহারাষ্ট্রের এই বিজেপি সাংসদ সঞ্জয়।

সঞ্জয় পাতিল একমাত্র বিজেপি সাংসদ যিনি প্রথম প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করলেন। শুধু সঞ্জয় একা নন, চলতি মাসে হর্ষবর্ধন পাতিল নামে এক বিজেপি নেতাও একই মন্তব্য করেছেন। ২০১৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন হর্ষবর্ধন। এই বিজেপি নেতা বলেন, কেউ যদি আমার কাছে জানতে চায় আমি কেন বিজেপিতে যোগ দিয়েছি, তবে আমি বলব নিশ্চিন্তে ঘুমানোর জন্য আমি গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আমাকে আর এখন কারও কোনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে না। যথারীতি হর্ষবর্ধনের এই মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। হর্ষবর্ধন অবশ্য পাল্টা বলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছে সংবাদমাধ্যম। তিনি বলতে চেয়েছিলেন, কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাঁকে প্রার্থী করেনি। সে কারণেই তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন।

২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখলের পরই বিজেপি বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে বলে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এজন্যই বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। নেত্রীর দাবি, বিরোধীদলে থাকলেই নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত হন। কিন্তু সেই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারাই বিজেপিতে যোগ দিলে সব সাদা হয়ে যান। সে কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ বলেন।

সম্প্রতি মুম্বইয়ের মাদক মামলায় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এনসিবিকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছেন, যে যত দুর্নীতিগ্রস্ত হোক না কেন, বিজেপিতে যোগ দিলে তার বিরুদ্ধে চলতে থাকা সব তদন্তই ধামাচাপা পড়ে যায়। বিরোধীরা যে এতটুকু ভুল বলছেন না, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় পাতিলের মন্তব্যে। শুধু সঞ্জয় নন, হর্ষবর্ধনও একই কথা বলায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ আরো মজবুত হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।