রাজধানীতে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত স্থানীয় বাসিন্দা

নয়াদিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর: উত্তর-পূর্ব দিল্লির প্রতাপ নগরের সি-ব্লক এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় (Unidentified Assailant) এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিচয়…

Unidentified Assailant

নয়াদিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর: উত্তর-পূর্ব দিল্লির প্রতাপ নগরের সি-ব্লক এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় (Unidentified Assailant) এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে সুধীর ওরফে বান্টি (৩৫) এবং রাধে প্রজাপতি (৩০) হিসেবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭:১৫ নাগাদ হর্ষ বিহার থানায় গুলিবর্ষণের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তবে, তার আগেই পরিবারের সদস্যরা আহতদের গুরু তেগ বাহাদুর (জিটিবি) হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনেরই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর ধারা ১০৩(১) (হত্যা) এবং ৩(৫) (যৌথ দায়বদ্ধতা) এবং আর্মস অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

   

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দল পৌঁছে প্রমাণ সংগ্রহ করছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। একাধিক পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে অপরাধীদের ধরতে এবং ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটনের জন্য।

তবে, প্রাথমিক তদন্তে হত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে। নিহতদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুধীর ওরফে বান্টি প্রতাপ নগরের বাসিন্দা ছিলেন, আর রাধে প্রজাপতি লোনি বর্ডারের কাছে রাহুল গার্ডেনের বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার সময় তারা তাদের বাড়ির বাইরে গলিতে ছিলেন, যখন অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন যুবক এসে তাদের উপর তাবড়তাবড় গুলি চালায়। এই ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, এবং স্থানীয়রা পুলিশের কাছে দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।

উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে এই ধরনের দ্বৈত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ওয়েলকাম এলাকায় একই রকম একটি ঘটনায় প্রদীপ (৪০) এবং বাবলু (৪০) নামে দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন।

সেই ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা গ্যাং প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছিল। পরবর্তীতে, অভিযুক্ত সলমান ওরফে তোহিদকে গ্রেফতার করা হয়, যিনি নিজেকে গ্যাংস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানায়।

Advertisements

এই সাম্প্রতিক ঘটনায় পুলিশ এখনও কোনো গ্রেফতার করতে পারেনি, তবে তদন্তে দ্রুত অগ্রগতির আশ্বাস দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, দিল্লির এই অংশে অপরাধের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং পুলিশের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের ধরুক এবং এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনে।”এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তারা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য সংগ্রহ করছে।

তবে, এই ঘটনার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, গ্যাং প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা সব সম্ভাব্য দিক থেকে তদন্ত করছি। অপরাধীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।”

মহিলাদের একা দেখলেই তুলে নিয়ে যাচ্ছে ‘ন্যুড গ্যাং’! আতঙ্ক এলাকায়

এই দ্বৈত হত্যাকাণ্ড দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয়রা এবং রাজনৈতিক নেতারা পুলিশের কাছে দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের বিষয়ে সবার দৃষ্টি রয়েছে।