‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিকে “দাঙ্গাবাজদের লাইসেন্স” বললেন বিরোধী দলনেতা!

লখনউ: উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ও আপনি জনতা পার্টির অধ্যক্ষ স্বামী প্রসাদ মৌর্যর (Swami Prasad Maurya) বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড়! কৃষিবিদ তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা দাবী করেন, “দাঙ্গাবাজদের লাইসেন্সে পরিণত হয়েছে জয় শ্রীরাম (Jai Sri Ram) ও জয় বজরঙ্গবলী ধ্বনি (Jai Bajrangbali)”।

Advertisements

তিনি বলেন, বিজেপি সরকার ধর্মীয় বিদ্বেষ ও দাঙ্গা করানোর জন্য এই ধ্বনির অপব্যাবহার করছে! শুধু তাই নয়, খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য। অভিযোগের সুর সপ্তমে চড়িয়ে তিনি বলেন, “ধর্মের দোহাই দেওয়া মানুষরা সন্ত্রাসের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। জয় শ্রীরাম এবং জয় বজরঙ্গবলীর স্লোগান এখন দোকান, বাড়ি, ঈদগাহ, মসজিদ এবং মাদ্রাসায় আক্রমণের সংকেত হয়ে উঠেছে। এইসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্তের পরিবর্তে খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন!”

   

আপনি জনতা পার্টির অধ্যক্ষের আরও অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এখন নিজেই আদালতের ভূমিকা পালন করছেন। নির্দোষ মানুষদের ঘর, মাদ্রাসা, মসজিদে বুলডোজার চালিয়ে দিচ্ছেন। আর অপরাধী, গুন্ডা, মাফিয়ারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”

ফতেপুর এবং আলীগড়ের উদাহরণ দিলেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য

এই বিস্ফোরক অভিযোগের সপক্ষে ফতেপুরের উদাহরণ তুলে ধরেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী। যেখানে সমাধিস্থল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ, মামলা দায়ের হয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, আলীগড় পুলিশকে সাধুবাদ জানান তিনি। কেননা, ‘আই লাভ মহম্মদ’ লিখে দাঙ্গার প্ররোচনা দেওয়ায় দু-জন হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করেছিল আলীগড় পুলিশ।

Advertisements

মৌর্য (Swami Prasad Maurya) বলেন, বিজেপি সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করছে এবং বর্ণবাদী মৌলবাদীরাই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি আরও বলেন, দলিতদের উপর অত্যাচার এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আগামী ৩ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে একটি প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হবে।

স্বামী প্রসাদ মৌর্যর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী বৃন্দাবনের সাধুদের

স্বামী প্রসাদ মৌর্যের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মথুরা-বৃন্দাবনের সাধুরা। সন্ত দীনেশ শর্মা বলেছেন যে মৌর্যের মানসিকতা এতটাই নীচে নেমে গেছে যে তিনি সনাতন ধর্মের স্লোগানগুলিকেও ‘বিতর্কিত’ বলে ভোট ব্যাংকের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন।

সাধুরা অভিযোগ করেন যে মৌর্য ক্রমাগত সনাতন ধর্মের অবমাননা করছেন এবং তার ইসলামপন্থী বক্তব্য দেখে মুসলিম সম্প্রদায়ও এখন বিতর্কিত বক্তব্য দিতে শুরু করবে। সাধুরা সরকারকে মৌর্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।