নয়াদিল্লি, ৮ ডিসেম্বর: পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar commander claim)-এর এক উচ্চপদস্থ কমান্ডারের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে এক চমকপ্রদ স্বীকারোক্তি, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের সন্ত্রাসের অন্ধকার চিত্রকে আরও উন্মোচিত করেছে। সংগঠনের এক অপারেশনাল কমান্ডার দাবি করেছেন যে, ভারতের হাতে লস্করের ১০,০০০-এরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে, এবং এখন পাকিস্তানের যুবকদের তাদের ‘জিহাদী দলে’ যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বিবৃতি এসেছে পাকিস্তান আর্মি চিফ জেনারেল আসিম মুনির নেতৃত্বাধীন সামরিক শাসনের ছায়ায়, যেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে নিয়োগকরণের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-কে ‘পিকনিক স্পট’ বলে কটাক্ষ করে কমান্ডারটি বলেছেন, এই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পাকিস্তানের সন্ত্রাস রফতানির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
‘চৌদ্দ বছরে ধ্বংসস্তূপ’-হতশ্রী উন্নয়ন নিয়ে তোপ দাগলেন শুভেন্দু, নিশানায় ঠিকাদার মহল
এই ঘটনা ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে, যা কাশ্মীরের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটা বড় চিত্র আঁকছে।এই স্বীকারোক্তিটি একটি গোপন অডিও ক্লিপের মাধ্যমে বাইরে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা লাশকরের অভ্যন্তরীণ সদস্যদের মধ্যে প্রচারিত হচ্ছিল।
কমান্ডারটি, যার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের মতে সাইফুল্লাহ কাসুরি-এর মতো উচ্চপদস্থ নেতার সঙ্গে যুক্ত, বলেছেন, “ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর এবং কাশ্মীরের অভ্যন্তরে হাজার হাজার ভাইদের শহীদ করেছে। ১০,০০০-এরও বেশি আমাদের যোদ্ধা নিহত, কিন্তু এটা আমাদের লড়াইকে থামাতে পারবে না। পাকিস্তানের সাহসী ছেলেরা এখন যোগ দাও, জিহাদের পথে ভারতকে শায়িত করো।”
এই আহ্বানটি লস্করের প্রচার মেশিনের মাধ্যমে পাকিস্তানের মাদ্রাসা এবং সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ছে, যা নতুন নিয়োগকরণের চক্র শুরু করার লক্ষণ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তথ্য অনুসারে, গত পাঁচ বছরে কাশ্মীরে ৪,০০০-এর বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে, কিন্তু ১০,০০০-এর সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত বলে মনে করা হচ্ছে যাতে সংগঠনের ‘শহীদ’দের গৌরবান্বিত করা যায় এবং নতুন যোদ্ধাদের উত্তেজিত করা যায়।

