প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ৯৮তম আখিল ভারতীয় মারাঠি সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষাগত ঐক্য ও বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে কখনোই শত্রুতা ছিল না। প্রতিটি ভাষাই একে অপরকে প্রভাবিত ও সমৃদ্ধ করেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ভাষা সবসময়ই একে অপরকে সমৃদ্ধ করে। কোনো ভাষাকে অন্য ভাষার বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর কোনো সুযোগ নেই। ভারতের ভাষাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা নয়, বরং সহযোগিতা ও পরস্পর সমৃদ্ধির প্রয়োজন।”
মোদির এই মন্তব্য ভাষাগত বিভেদ সৃষ্টির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি ভারতের ঐতিহাসিক ভাষাগত ঐক্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ভারত একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ, যেখানে নানা ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্ম রয়েছে। এসবের মধ্যে ঐক্যই আমাদের শক্তি।”
মহারাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মারাঠি সাহিত্য সমাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যের বার্তা দেয়। এটি আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।” তিনি মারাঠি ভাষার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক অবদানের প্রশংসা করে এটিকে ভারতীয় ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অভিহিত করেন।
ভারতের ভাষাগুলির সমৃদ্ধি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে মোদি বলেন, “প্রতিটি ভাষার নিজস্ব গৌরব ও ঐতিহ্য রয়েছে, যা আমাদের ঐক্যকে আরো দৃঢ় করে।” তিনি ভাষাগত ঐক্য ও বৈচিত্র্যকে শক্তিশালী করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “এই সম্মেলন আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান এবং আমাদের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধার প্রমাণ।” তার বক্তব্যকে দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষী সম্প্রদায় ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মোদি শেষে ভাষাগত ঐক্য ও সম্পর্কের গুরুত্বকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে বলেন, “ভারতের ভাষাগত ঐক্য আমাদের শক্তি এবং এটি আমাদের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করে।”
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ভাষাগত বিভেদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে।